প্রথম দুই উইকেট নিলেন মোস্তাফিজুর রহমান। তৃতীয়টি আব্দুর রাজ্জাক। বাকি সাত উইকেট একাই দখলে নিলেন মেহেদী হাসান মিরাজ! বিকেএসপিতে খুলনার অফস্পিনারের ক্যারিয়ার সেরা বোলিংয়ে প্রথম ইনিংসে ১১৩ রানে গুটিয়ে গেছে ঢাকা বিভাগ।
জবাবে আলো স্বল্পতায় দিনের খেলা বন্ধ হওয়ার আগে ৪.৫ ওভার ব্যাট করে ২৩ রান তুলেছে খুলনা। সৌম্য সরকার ১১ ও এনামুল হক বিজয় ১২ রানে অপরাজিত আছেন।
শেষ রাউন্ডে এসে হচ্ছে জাতীয় লিগের শিরোপা নির্ধারণ। গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচটির প্রথম দিনেই বাজিমাত করলেন মিরাজ। ১১.৪ ওভার বল করে ২৪ রানে ৭ উইকেট তার। প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে ২০ বছর বয়সী তরুণের আগের সেরা বোলিং ছিল ৫০ রানে ৬ উইকেট।
কুয়াশার কারণে খেলা শুরু হয় নির্ধারিত সময়ের তিন ঘণ্টা পর। টস হেরে ব্যাটিংয়ে নেমে ঢাকা উইকেট হারায় নিয়মিত বিরতিতে। সর্বোচ্চ ২৮ রান আসে রকিবুল হাসানের ব্যাটে। ২১ রান করেন শুভাগত হোম। দুজনকেই বোল্ড করেন মিরাজ।
এ ম্যাচটি ড্র করতে পারলেই টানা তৃতীয়বারের মতো শিরোপা জিতবে খুলনা বিভাগ। প্রথম দিনে জয়ের মঞ্চই যেন প্রস্তুত করে রাখল তারা!
প্রথম স্তরের অপর ম্যাচে সোহাগ গাজীর ব্যাটে রংপুরের বিপক্ষে ভাল অবস্থানে আছে বরিশাল। চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে টস জিতে ব্যাটিংয়ে নেমে প্রথমদিন শেষে ৬ উইকেট হারিয়ে ২৮০ রান তুলেছে তারা।
মাত্র ১ রানের জন্য সেঞ্চুরি পাননি সোহাগ গাজী। ৯৯ রান করে দিনের শেষবেলায় সাজেদুল ইসলামের বলে নাসিরের হাতে ক্যাচ দেন গাজী। ১০৪ বল খেলে ১৩টি চার এক ছক্কায় সাজান ইনিংসটি। নুরুজ্জামান ৫১ ও শাসমুল ইসলাম ২ রানে অপরাজিত থেকে দিনের খেলা শেষ করেছেন।
ফিফটির দেখা পেয়েছেন আল-আমিন জুনিয়রও। ৫০ রান করে তানবীর হায়দারকে উইকেট নিয়ে সাজঘরে ফেরেন। ৩৫ রান করেন মোসাদ্দেক হোসেন সৈকত। তিনিও তানবীরকে উইকেট দেন।
বরিশাল ইনিংসের শুরুর দুই উইকেট নেন শুভাশিষ রায়। একটি উইকেট নিয়েছেন আরিফুল হক।