চ্যানেল আই অনলাইন
হৃদয়ে বাংলাদেশ প্রবাসেও বাংলাদেশ

৬ মাসে ইউরোপে ১লাখ ৩৫ হাজার অভিবাসী: জাতিসঙ্ঘ

২০১৫ সালের প্রথম ৬ মাসে অবৈধভাবে সমুদ্র পথে ইউরোপে পাড়ি জমিয়েছে প্রায় ১ লাখ ৩৫ জাজার শরণার্থী ও অবৈধ অভিবাসী। জাতিসংঘের শরণার্থী বিষয়ক সংস্থা ইউএনএইচসিআর’র প্রকাশিত রিপোর্ট অনুযায়ী শরণার্থী ও অভিবাসীদের বেশিরভাগই দক্ষিণ ইউরোপে আশ্রয় নিয়ে দেশগুলোর বোঝা আরো বাড়িয়েছে।

ইউএনএইচসিআর’র এক মুখপাত্র ব্রেইন হেন্সফোর্ড এর মতে, নিজ দেশ ছেড়ে আসা ওইসব অভিবাসীর সংখ্যা দিন দিন বেড়েই চলেছে। আর চলতি বছরের প্রথম ভাগে ইউরোপে ২০১৪ সালের তুলনায় ৮০ শতাংশ বেশি অভিবাসী পাড়ি জমিয়েছে।

আর অভিবাসীদের ক্রমবর্ধমান সঙ্কট সমাধানের বিষয়ে ইউরোপীয় ইউনিয়নের নেতাদের মধ্যেও অনেক দ্বিমত ও বিভেদ তৈরি হয়েছে। রিপোর্টে দেখা গেছে, দক্ষিণ ইউরোপে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে বিপদজ্জনকভাবে সমুদ্রপথে আসা শরণার্থী ও অভিবাসীদের সংখ্যা দিন দিন বেড়ে চলায় সেখানে সৃষ্টি হচ্ছে অনেক জটিল সমস্যা। 

এই অভিবাসীদের একটি বড় আশ্রয়স্থল হলো গ্রিস আর ওই সঙ্কট ২০১৫ সালে দেশটির অর্থনৈতিক ব্যবস্থাকে চরমভাবে ক্ষতিগ্রস্ত করেছে। পাশাপশি দেশটির আর্ন্তজাতিক মুদ্রা তহবিলকে ঋণ করতে বাধ্য করেছে।

ইউএনএইচসিআর’র রিপোর্টে আরো দেখা যায়, প্রতিদিন প্রায় ১ হাজার অবৈধ অভিবাসী গ্রিসে প্রবেশ করায় চলতি বছরের জুন মাসের শুরু থেকে এই অভিবাসীদের গ্রিস থেকে পশ্চিম বলকানে পাঠানো হচ্ছে। একসপ্তাহ আগে বলকানে প্রায় ২’শজন অভিবাসীকে স্থানান্তর করা হয়েছে।

ইতালি এবং গ্রিস থেকে প্রায় ৪০ হাজার গৃহহীণ অভিবাসী নেয়ার পরিকল্পনায় দ্বিমত পোষণ করায় গত সপ্তাহে ইতালির প্রধানমন্ত্রী মেত্তো রেনজি ইউ নেতাদের সঙ্গে বাকযুদ্ধে জড়িয়ে পড়েন।

ইউএনএইচসিআর’র মুখপাত্র ব্রেইন হেন্সফোর্ড বলেন, ক্রমবর্ধমান শরণার্থী ও অভিবাসীদের পর্যাপ্ত আশ্রয়স্থল নেই। যেহেতু অভিবাসী সঙ্কট একটি আঞ্চলিক সমস্যা, তাই এর সমাধানে আঞ্চলিক সহযোগিতা ও আঞ্চলিক সংহতি প্রয়োজন।

রিপোর্টে শরণার্থী সঙ্কটের জন্য লিবিয়াকেও দায়ী করা হয়েছে। ২০১১ সাল থেকে সিরিয়া গৃহযুদ্ধ শুরু হলে প্রায় ৪৪ হাজার শরণার্থী সমুদ্রপথে ইউরোপে পাড়ি জমিয়েছে। আর এই সমস্যা তৈরি পেছনে ৩য় বৃহত্তম দেশ হিসেবে  ইরিত্রিয়া ও আফগানিস্তানকে দায়ী করা হয়েছে। রিপোর্টে আরো দেখা যায় ইউরোপে শরণার্থী ও অভিবাসী সংখ্যা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে গত মে মাস থেকে সমুদ্রে মৃতের সংখ্যাও বেড়েছে।