আফ্রিকায় ৬ মাসের মধ্যে করোনাভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা ১ কোটি ছাড়িয়ে যেতে পারে বলে আশংকা প্রকাশ করেছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। তাদের ধারণা, করোনাভাইরাস প্রাদুর্ভাবের পরবর্তী কেন্দ্র হবে এই অঞ্চলটি।
জাতিসংঘ কর্মকর্তারাও বলছেন করোনাভাইরাসে আফ্রিকায় ৩ লাখ মানুষের মৃত্যু হবে আর অন্তত ৩ কোটি মানুষ দরিদ্র হয়ে পড়বে।
গত সপ্তাহেই আফ্রিকায় করোনাভাইরাস আক্রান্তের সংখ্যা অনেক বেড়ে যায়। আফ্রিকায় এরই মধ্যে ১৯ হাজার মানুষ আক্রান্ত হয়েছে আর প্রাণ হারিয়েছে ১ হাজার মানুষ। যদিও সেটা ইউরোপের কিছু অংশ ও যুক্তরাষ্ট্রের চেয়ে কম।
আফ্রিকায় জাতিসংঘের ইকনোমিক কমিশন সতর্ক করেছে, সেখানে প্রায় ৩ লাখ মানুষ প্রাণ হারাতে পারে। তাই এই মহাদেশ রক্ষার্থে ১০০ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের নিরাপত্তা জাল দিতে হবে। সেই সঙ্গে দেশের বাইরের ঋণশোধও স্থগিত করতে হবে।
হু জানিয়েছে, ভাইরাসটি আফ্রিকার রাজধানী থেকে ছড়ানো শুরু করেছে। এই মহামারীর সঙ্গে যুদ্ধ করার জন্য যথেষ্ট ভেন্টিলেটরও নেই তাদের।
আফ্রিকার মোট জনসংখ্যার তিনভাগেরই পর্যাপ্ত পানির সরবরাহ নেই আর ৬০ শতাংশ শহুরে জনগণ জনাকীর্ণ বস্তিতে বাস করে। ফলে সেসব জায়গায় ভাইরাসটির বিস্তার হবে দ্রুত।
তবে উত্তর আফ্রিকায় এখনো আক্রান্তের সংখ্যা কিছুটা কম। হুয়ের আফ্রিকা ডিরেক্টর ড. মাতসিদিসো মোয়েতি বলেন, আফ্রিকার খুব কম মানুষ আন্তর্জাতিক সফর করেন। তারপরও সেখানে ভাইরাসটির সংক্রমণ ঘটে গেছে। এরপর দেখা যাবে অন্যান্য দেশের মতোই সেখানেও খুব দ্রুত ভাইরাসটির বিস্তার ঘটবে।
হুয়ের মতে, যদি আফ্রিকায় করোনার বিস্তার শুরু হয় তাহলে সেটা ইউরোপ বা যুক্তরাষ্ট্রের থেকেও অনেক বেশি পরিমাণে ধ্বংসাত্মক হবে। সেখানে ১০ লাখ মানুষের জন্য মাত্র পাঁচটি আইসিইউ রয়েছে। যেখানে ইউরোপে ১০ লাখে রয়েছে ৪,০০০টি। ভেন্টিলেটর কম থাকাই সেখানে সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ হবে এই ভাইরাস মোকাবেলায়।
গত বছরের ডিসেম্বরে চীনের উহান শহর থেকে ছড়িয়ে পড়ে করোনাভাইরাস। পরে বিশ্বব্যাপী সেটা মহামারী রূপ ধারণ করে। বর্তমানে সারা বিশ্ব এই ভাইরাসের বিরুদ্ধে যুদ্ধে রত।
শনিবার সকাল পর্যন্ত সাড়ে ২২ লাখের বেশি মানুষ এই ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছে। আর মৃত্যু হয়েছে ১ লাখ ৭০ হাজারেরও বেশি ব্যক্তির।