বাংলাদেশের তৈরি পোশাক কারখানার কর্মপরিবেশ ও নিরাপত্তা ব্যবস্থার উন্নতিতে সন্তোষ প্রকাশ করে ইউরোপীয় ক্রেতাদের জোট অ্যাকর্ড জানিয়েছে প্রায় ৭৭ শতাংশ কারখানার প্রাথমিক আর ৬৫ শতাংশের শতভাগ সংস্কার শেষ করেছে। তবে এখনও বড় ধরনের নিরাপত্তা সমস্যা পুরোপুরি সমাধান হয়নি।
সোমবার দুপুরে রাজধানীর একটি হোটেলে সম্মেলনে সংস্থাটির নির্বাহী পরিচালক রব ওয়েজ এসব তথ্য তুলে ধরেন। বাংলাদেশে অ্যাকর্ডের চার বছরের অগ্রগতি তুলে ধরতে এই সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়।
রব ওয়েজ বলেন, বাংলাদেশে অ্যাকর্ডের অধীনে ১ হাজার ৮৪৯টি কারখানা রয়েছে। এরমধ্যে ১ হাজার ৫৩৪টি কারখানা পরিদর্শন করা হয়েছে, বাকি আছে আরো ৩১৫টি কারখানা। এগুলোর মধ্যে ৪শ’টির বেশি কারখানায় ৯০ শতাংশের বেশি সংস্কার কাজ শেষ হয়েছে। এই অর্জন প্রশংসনীয়। সংস্কার কাজ যেন পুরোপুরি শেষ করা যায় সে বিষয়ে আমাদের অবশ্যই তৎপর থাকতে হবে।
তিনি বলেন, ৬৫ শতাংশ কারখানা শতভাগ কাজ শেষ করেছে। ৬৯৯টি কারখানা বিদ্যুৎ নিরাপত্তা বিষয়ক সংস্কার করেছে, ২০৯টি কারখানা অবকাঠামোগত সংস্কার শেষ করেছে আর অগ্নি নিরাপত্তা নিশ্চিত করেছে ৯২টি কারখানা। এছাড়া সব ধরনের সংস্কারকাজ শেষ করার সাফল্য অর্জন করেছে সাতটি কারখানা।
রব ওয়েজ আরো বলেন, আমরা এখনো দেখছি অনেক কারখানায় বড় ধরনের সংস্কার কাজ শেষ হয়নি। যেসব পোশাক কারখানার সংস্কার ব্যয় নির্বাহ করার সক্ষমতা নেই তাদের সংস্কার কাজে এখন থেকে অ্যাকর্ড অর্থ সহায়তা দেবে।
২০১৮ সালের জুন মাসে বাংলাদেশে অ্যাকর্ডের কার্যক্রমের মেয়াদ শেষ হওয়ার কথা রয়েছে। তবে মেয়াদ বাড়াতে সংস্থাটি ইতোমধ্যে সরকারের সঙ্গে আলোচনা শুরু করেছে। কিন্তু উদ্যোক্তারা এতে রাজি নয়।