এক এগারোর সময় বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান থেকে আগাম কর হিসেবে সংগ্রহ করা ৬১৫ কোটি ৫৫ লাখ টাকা তাদের ঠিক কী পদ্ধতিতে ফেরত দেওয়া হবে সে বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে সরকারের নির্দেশনার অপেক্ষায় আছে বাংলাদেশ ব্যাংক।
বৃহস্পতিবার এসব প্রতিষ্ঠানকে অর্থ ফেরত দেওয়ার নির্দেশ দেন সর্বোচ্চ আদালত। রিভিউ করার সুযোগ থাকলেও রিভিউয়ে সাধারণতঃ আদেশ বদলায় না তাই প্রতিষ্ঠানগুলো টাকা ফেরত পাবে বলেই মনে করা হচ্ছে। তবে ঠিক কী পদ্ধতিতে ফেরত দেওয়া হবে সে বিষয়ে এখনো নিশ্চিত নয় কেন্দ্রীয় ব্যাংক।
যোগাযোগ করা হলে বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক এবং মুখপাত্র শুভঙ্কর সাহা চ্যানেল আই অনলাইনকে বলেন: এখনো এ বিষয়ে কোন সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি। সরকারের নির্দেশেই টাকাগুলো বাংলাদেশ ব্যাংকে গচ্ছিত আছে। রায়ের কপি এখনো আমাদের হাতে এসে পৌঁছায়নি।
‘এসে পৌঁছানোর পর হয়তো সরকারের নির্দেশে আমরা এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবো।’
সর্বোচ্চ আদালতের রায়ের ফলে এস. আলম স্টিলস লিমিটেড ফেরত পাবে ৬০ কোটি টাকা, দ্য কনসোলিডেটেড টি অ্যান্ড ল্যান্ডস কোম্পানি লিমিটেড এবং বারাউরা টি কোম্পানি লিমিটেড ২৩৭ কোটি ৬৫ লাখ ৪০ হাজার ২ টাকা ১৭ পয়সা, মেঘনা সিমেন্ট মিল ৫২ কোটি টাকা, বসুন্ধরা পেপার মিল ১৫ কোটি টাকা, ইউনিক ইস্টার্ন প্রাইভেট লিমিটেড ৯০ লাখ টাকা, ইউনিক সিরামিক ইন্ডাস্ট্রিজ ৭০ লাখ টাকা, ইউনিক হোটেল অ্যান্ড রিসোর্টস ১৭ কোটি ৫৫ লাখ টাকা।
এছাড়া ইউনিক ভকেশনাল ট্রেনিং সেন্টারের স্বত্বাধিকারী মো. নূর আলীকে ৬৫ লাখ, বোরাক রিয়েল এস্টেট প্রাইভেট লিমিটেডকে ৭ কোটি ১০ লাখ, ইস্টার্ন হাউজিং লিমিটেডকে ৩৫ কোটি এবং ইস্ট ওয়েস্ট প্রোপার্টি লিমিটেড ডেভেলপমেন্টকে ১৮৯ কোটি টাকা ফেরত দিতে হবে।
রিট আবেদনের নথি থেকে জানা যায়, সাবেক সেনা-সমর্থিত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আমলে দেশের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান ও ব্যক্তির কাছ থেকে অগ্রিম আয়কর হিসেবে বিপুল পরিমাণ টাকা আদায় করা হয়। ওই সময় বাংলাদেশ ব্যাংকে সংরক্ষিত সরকারি কোষাগারে জমা দেয়া হয় ওই টাকা।