গুলশানে হামলাকারীদের মধ্যে ৫ জনের পরিচয়ের বিষয়ে নিশ্চিত হলেও সন্দেহভাজন জঙ্গি হিসেবে নিহত একজনের ব্যাপারে নিশ্চিত হতে পারেনি পুলিশ। হামলাকারীদেরকে নিষিদ্ধ জেমবির সদস্য হিসেবে দাবি করলেও পুলিশ বলছে, আন্তর্জাতিক সন্ত্রাসী সংগঠনের সঙ্গে তারা সম্পৃক্ত থাকলেও থাকতে পারে। জাতীয় নিরাপত্তায় রুদ্ধদ্বার বৈঠক থেকে তাই নতুন নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।
হামলা পরবর্তী পরস্থিতিতে জাতীয় নিরাপত্তা ইস্যুতে নতুন করণীয় ঠিক করতে পুলিশ সদর দপ্তরে আড়াই ঘণ্টা রুদ্ধদ্বার বৈঠক হয়েছে। বৈঠকের পর ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আহত পুলিশ সদস্যদের দেখতে এসে আরো বিস্তারিত জানান পুলিশের আইজিপি শহীদুল হক।
বলেন, যে পাঁচজন সদস্য ছিলো তাদের আমরা খুঁজছিলাম যে তারা নাশকতার কাজ করতে পারে। এখন মিলিয়ে দেখতে হবে। তারা তো নিজেদের নানান ছদ্মনাম দিয়েছে। এনামেই তারা তাদের সংগঠনে পরিচিত। কিন্তু আমরাতো তাদের আর বেশি পরিচয় জানিনা। নিরাপত্তা আরো জোড়দার করার জন্য নানান ইন্সট্রাকশন দেওয়া হয়েছে। সেসব এখন আরো জোরদার হবে।
গুলশানে বর্বর সন্ত্রাসী হামলায় অংশ নেয়া এবং শেষ পর্যন্ত যৌথ অভিযানে নিহত ৫ জনকে নিজেদের সদস্য হিসেবে দাবি করে ছবি প্রকাশ করেছিল আইএস। সঙ্গে জঙ্গি হামলার রাতেই তাদের হাতে ২০ জন নিহত হয়েছে বলেও দাবি করে দুনিয়াজুড়ে তোলপাড় তোলা আন্তর্জাতিক ওই সন্ত্রাসবাদী সংগঠন। তবে, এ বিষয়ে সন্দিহান পুলিশ।
আইজিপি শহীদুল হক বলেন, এখনতো পৃথিবী একেবারে ওপেন। যে কেউ যে কারো সঙ্গে নেটওয়ার্কের মাধ্যমে যোগাযোগ করতে পারে। আন্তর্জাতিক যোগাযোগ থাকতে পারে, সেটা আমাদের জানা নেই। প্রাথমিকভাবে আমরা মনে করছি এরা জেএমবিরই সদস্য। এবং সে হিসেবেই আমরা তাদের কিছুদিন থেকে খুঁজছিলাম। মামলা হয়েছে, তদন্ত চলছে, তদন্ত শেষে আমরা চূড়ান্ত মতামত দিতে পারবো।
আইজিপি জানিয়েছেন, হামলাকারীদের সম্পর্কে আরো তদন্তের পাশাপাশি নতুন নির্দেশনা অনুযায়ী কাজ করবে বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থা এবং আইন শৃংখলা রক্ষাকারী বাহিনী।