অন-ডিমান্ড রাইড শেয়ারিং স্মার্টফোন অ্যাপভিত্তিক কোম্পানি উবারের গ্রাহক ও ড্রাইভারের ইমেইল, মোবাইল নাম্বারসহ ৫৭ মিলিয়ন বা ৫ কোটি ৭০ লাখ তথ্য হ্যাক হয়েছিলো বলে স্বীকার করেছে উবার কর্তৃপক্ষ। গ্রাহকদের ব্যক্তিগত তথ্য হ্যাকারদের হাত থেকে মুছে ফেলতে এক লাখ ডলার দিতে হয়েছিল উবার কোম্পানিকে।
উবার গ্রাহকদের এই তথ্য চুরির খবর সবার আগে প্রকাশ করে ব্লুমবার্গ। তবে হ্যাক হওয়ার বিষয়টি উবারের সাবেক প্রধান নির্বাহী ট্রাভিস কালানিক জানতেন বলে জানিয়েছে বিবিসি।
ওই হ্যাকের পর ছয় লাখ চালকের নাম ও লাইসেন্সের তথ্যও হ্যাকারদের হাতে চলে যায়। উবার এখন ক্ষতিগ্রস্তদের জন্য নিজেদের ওয়েবসাইটে একটি পেজ খুলেছে। চালকদের জন্যও সহায়তার ব্যবস্থা করছে। তবে ক্ষতিগ্রস্ত যাত্রীদের জন্য এখনো তেমন কোনো উদ্যোগ নেয়নি উবার কর্তৃপক্ষ।
উবারের প্রধান নির্বাহী দারা খোসরোশাহী বলেন, চুরি যাওয়া তথ্য ব্যবহার করে কারও ক্ষতি করা হয়েছে এমন কোনো ঘটনা ঘটেনি। ক্ষতিগ্রস্তদের অ্যাকাউন্টগুলো তারা পর্যবেক্ষণ করছেন বলে জানিয়েছেন তিনি।
এরকম কোনো ঘটনা ঘটা উচিৎ ছিল না। আমি এ বিষয়ে কোনো অজুহাত দিতে চাই না। আমি অতীতের ঘটনা ভুলে যেতে পারি না। তবে প্রত্যেক উবার কর্মীর পক্ষ থেকে আমি কথা দিতে পারি, অতীতের ভুল থেকে আমরা শিক্ষা নেব।
উবার গ্রাহকদের তথ্য চুরির এ খবর প্রকাশিত হওয়ার পর কোম্পানির প্রধান নিরাপত্তা কর্মকর্তা জো সুলিভান পদত্যাগ করেছেন।
ঠিক কীভাবে গ্রাহকদের তথ্য চুরি করা হয়েছিল তা স্পষ্ট করেনি উবার। তবে ব্লুমবার্গের প্রতিবেদনে বলা হয়, দুই হ্যাকার ওয়েব ডেভেলপারদের অনলাইন রিসোর্স সাইট গিটহাবের তথ্যভাণ্ডারের ঢুকে হ্যাক করতে সক্ষম হয়।
২০১৪ সালে এর চেয়ে অনেক ছোট একটি তথ্য চুরির ঘটনা চেপে রাখায় চলতি বছর জানুয়ারিতে ২০ হাজার ডলার জরিমানা দিতে হয়েছিল উবারকে।