তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি আইন-২০০৬ এর সংশোধনী ২০১৩’র ৫৭ ধারাকে কেনো অসাংবিধানিক ও বাতিল করা হবে না তা জানতে চেয়ে সরকারের প্রতি রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট।
৪ সপ্তাহের মধ্যে স্বরাষ্ট্র, আইন এবং তথ্য ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের সচিবসহ সংশ্লিষ্ট বিবাদীদের জবাব দিতে বলেছেন হাইকোর্ট বেঞ্চ।
আইসিটি আইনের ৫৭’র ১ ধারায় বলা হয়েছে, কোনো ব্যক্তি ইচ্ছাকৃতভাবে ওয়েবসাইটে বা অন্য কোন ইলেক্ট্রনিক বিন্যাসে কিছু প্রকাশ বা সম্প্রচার করার কারণে যদি কারও মানহানি, আইন-শৃঙ্খলার অবনতি, রাষ্ট্র ও ব্যক্তির ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন হয় বা ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত করে বা ব্যক্তি বা সংগঠনের বিরুদ্ধে উস্কানী প্রদান করা হয়, তা হবে অপরাধ হিসেবে গণ্য হবে।
এ আইনের অধীনে কোনো অপরাধ করলে অনধিক চৌদ্দ বছর এবং কমপক্ষে সাত বছর কারাদণ্ড এবং অনধিক এক কোটি টাকা অর্থদণ্ডে দণ্ডিত হবেন। অপরাধ আমলে নেওয়ার আগ পর্যন্ত জামিন নেওয়ারও সুযোগ নেই। এ অবস্থায় আইসিটি আইনের ৫৭ ধারার বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে ৩০ আগস্ট রিট দায়ের করেন ১১ জন শিক্ষক এবং লেখক।
আইসিটি আইনের ৫৭ ধারা চ্যালেঞ্জ করে রিটে কী যুক্তি দিয়েছেন সে সম্পর্কে বলেন আবেদনকারীর আইনজীবী। তবে রাষ্ট্রপক্ষ আবেদনকারীর যুক্তির বিষয়ে দ্বিমত পোষণ করেন।
৫৭ ধারার বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে জাকির হোসেন নামে এক ব্যক্তির করা রিটের ওপর বুধবার আদেশের দিন ঠিক করেছেন বিচারপতি ফারাহ মাহবুব এবং বিচারপতি কাজী মোহাম্মদ ইজারুল হক আকন্দের হাইকোর্ট বেঞ্চ।