দেশে কোভিড-১৯ প্রাদুর্ভাবের ৩৮৯তম দিনে মোট মৃত্যুর সংখ্যা নয় হাজার ছাড়িয়েছে। সংক্রমণে শনাক্তের সংখ্যা ছাড়িয়েছে ছয় লাখ।
গত ২৪ ঘণ্টায় ৫২ জনের মৃত্যুতে মোট মৃত্যুর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে নয় হাজার ৪৬ জন।গত সাত মাসে এটিই সর্বোচ্চ মৃত্যু। এর আগে, গত বছরের ২০ আগস্ট করোনায় ৫৪ জনের মৃত্যু হয়েছে।
গত ২৪ ঘণ্টায় সংক্রমণ শনাক্ত হয়েছে পাঁচ হাজার ৩৫৮ জন।যা এক দিনে সর্বোচ্চ শনাক্ত। এর আগে, এক দিনে দেশে সর্বোচ্চ আক্রান্ত হয়েছিল ২৯ মার্চ; পাঁচ হাজার ১৮১ জন।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (প্রশাসন) ডা. নাসিমা সুলতানার সই করা এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, বুধবার সকাল ৮টা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় (অ্যান্টিজেন টেস্টসহ) ২৬ হাজার ৯৩১টি নমুনা পরীক্ষায় পাঁচ হাজার ৩৫৮ জন এই ভাইরাসে আক্রান্ত শনাক্ত হয়েছেন। এই সময়ে পরীক্ষার বিপরীতে শনাক্তের হার ১৯ দশমিক ৯০ শতাংশ।
তবে শুরু থেকে মোট পরীক্ষার বিপরীতে শনাক্তের হার ১৩ দশমিক ০৯ শতাংশ।
সরকারী ব্যবস্থাপনায় এখন পর্যন্ত ৩৫ লাখ ৩৩ হাজার ৭৪০টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে, বেসরকারী ব্যবস্থাপনায় পরীক্ষা হয়েছে ১১ লাখ ৩৬ হাজার ৮৩৬টি নমুনা। অর্থাৎ মোট পরীক্ষা করা হয়েছে ৪৬ লাখ ৭০ হাজার ৫৭৬টি নমুনা।
এর মধ্যে শনাক্ত হয়েছেন ছয় লাখ ১১ হাজার ২৯৫ জন। তাদের মধ্যে ২৪ ঘণ্টায় দুই হাজার ২১৯ জনসহ মোট পাঁচ লাখ ৪২ হাজার ৩৯৯ জন সুস্থ হয়েছেন। শনাক্ত বিবেচনায় সুস্থতার হার ৮৮ দশমিক ৭৩ শতাংশ।
গত ২৪ ঘণ্টায় যে ৫২ জন মৃত্যুবরণ করেছেন তাদের মধ্যে ৩৮ জন পুরুষ ও ১৪ জন নারী। তাদের মধ্যে হাসপাতালে ৫১ জনের ও বাড়িতে এক জনের মৃত্যু হয়েছে। তারাসহ মৃতের মোট সংখ্যা নয় হাজার ৪৬। মোট শনাক্ত বিবেচনায় মৃত্যুহার এক দশমিক ৪৮ শতাংশ।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তথ্যমতে, এখন পর্যন্ত ছয় হাজার ৮১২ জন পুরুষ মারা গেছেন যা মোট মৃত্যুর ৭৫ দশমিক ৩০ শতাংশ এবং দুই হাজার ২৩৪ জন নারী মৃত্যুবরণ করেছেন যা মোট মৃত্যুর ২৪ দশমিক ৭০ শতাংশ।
বয়সভিত্তিক বিশ্লেষণে দেখা গেছে, ২৪ ঘণ্টায় করোনায় মৃত ৫২ জনের মধ্যে একুশ থেকে ত্রিশ বয়সী এক জন, ত্রিশোর্ধ্ব পাঁচ জন, চল্লিশোর্ধ্ব আট জন, পঞ্চাশোর্ধ্ব আট জন এবং ষাটোর্ধ্ব ৩০ জন রয়েছেন। আর বিভাগওয়ারী হিসাবে ঢাকা বিভাগে ৩৪ জন, চট্টগ্রাম বিভাগে নয় জন, রাজশাহী বিভাগে তিন জন, খুলনা বিভাগে তিন জন সিলেট বিভাগে দুই জন ও রংপুর বিভাগে এক জন।
চীন থেকে ছড়িয়ে পড়া করোনাভাইরাসে বিশ্বের ২১৫টি দেশ ও অঞ্চলে এখন পর্যন্ত ১২ কোটি ৮৯ লাখেরও বেশি মানুষ আক্রান্ত হয়েছেন। এদের মধ্যে মারা গেছেন ২৮ লাখ ১৮ হাজারের বেশি মানুষ। তবে সুস্থ হয়ে ঘরে ফিরেছেন ১০ কোটি ৪০ লাখের বেশি।