৫০ বছর পর যুক্তরাষ্ট্রের রাজধানী ওয়াশিংটনে কিউবার দূতাবাস ও কিউবার রাজধানী হাভানায় যুক্তরাষ্ট্রের দূতাবাস খোলা হচ্ছে। এক উর্ধ্বতন ও জ্যেষ্ঠ মার্কিন কর্মকর্তা জানিয়েছেন, বুধবার এই দুই রাষ্ট্রে পরস্পরের দূতাবাস খোলার ঘোষণা দেয়া হবে। এই ঘোষণা ১৯৬১ সালের পর দুই দেশের মধ্যকার পারস্পারিক কূটনৈতিক সম্পর্ক পুনরায় প্রষ্ঠিার ক্ষেত্রে একটি বড় পদক্ষেপ হিসেবে বিবেচিত হবে।
১৯৬০ সাল থেকে এই দুই দেশের মধ্যে শীতল সম্পর্ক বিরাজ করছিল এবং যুক্তরাষ্ট্র কিউবার সঙ্গে সব ধরণের সম্পর্ক ছিন্ন করে কিউবার ওপর বাণিজ্যিক নিষেধাজ্ঞা জারি করেছিলো। যুক্তরাষ্ট্র ২০১৪ সালের শেষের দিকে এই নিষেধাজ্ঞা উঠিয়ে নেয়। দুই দেশের রাষ্ট্রপ্রধান চলতি বছরে এপ্রিলে এক ঐতিহাসক আলোচনায় অংশ নেয়।
এক মার্কিন কর্মকর্তা জানান, প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা বুধবার স্থানীয় সময় দুপুর ৩ টার দিকে যুক্তরাষ্ট্রে কিউবার দূতাবাস খোলার এক আনুষ্ঠানিক ঘোষণা দিবেন। কিন্তু কবে থেকে দুই দেশে পরস্পরের দূতাবাস খোলা হবে তা এখন পর্যন্ত স্পষ্ট করে জানা যায়নি। তবে ধারণা করা হচ্ছে চলতি বছরের জুলাই’র মাঝামাঝি এই দূতাবাস খোলা হতে পারে। যুক্তরাষ্ট্রকে দূতাবাস খোলার অন্তত ২ সপ্তাহ আগে কংগ্রেসকে অবগত করতে হবে। দুই দেশের মধ্যকার শীতল সম্পর্ক অবসানের ক্ষেত্রে এই দূতাবাস খোলার সিদ্ধান্ত এক নতুন মাইলফলক হতে যাচ্ছে।
২০১৪ সালের ডিসেম্বরে যুক্তরাষ্ট্র ও কিউবা পরস্পরের মধ্যকার ৫০ বছরের খারাপ সম্পর্কের অবসান করে পুনরায় কূটনৈতিক সম্পর্ক স্থাপনের ঘোষণা দেয়।