হবিগঞ্জের বাহুবলে চার শিশু হত্যা মামলায় চলতি মাসেই আদালতে চার্জশিট দেয়া
হবে বলে জানিয়েছে পুলিশ। মামলাটি দ্রুত বিচার আদালতে যাবে কি-না সে
সিদ্ধান্ত হবে চার্জশিটের পর। তবে, পাশবিক ওই হত্যার সর্বোচ্চ শাস্তি দাবি
করেছেন নিহত ৪ শিশুর মা-বাবা।
বিরোধের জের ধরে ১২ ফেব্রুয়ারী সন্ধ্যায় হবিগঞ্জের বাহুবল উপজেলার সুন্দ্রাটিকি গ্রামের শিশু মনির, শুভ, তাজেল ও ইসমাইলকে অপহরণ করে দুর্বৃত্তরা। পাঁচদিন পর ওই গ্রাম থেকে প্রায় দুই কিলোমিটার দূরের একটি খালের পাশে মাটিচাপা অবস্থায় তাদের মৃতদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। শিশুদের কারো বয়সই ১০ বছরের বেশি নয়।
হত্যাকাণ্ডে জড়িত থাকার অভিযোগে প্রধান অভিযুক্ত গ্রামের পঞ্চায়েত আব্দুল আলীসহ কয়েকজনকে এরইমধ্যে পুলিশ গ্রেফতার করেছে। তদন্তের অংশ হিসেবে চার শিশুর বাড়ির আশেপাশে নিয়মিত চলছে পুলিশের টহল। তদারকিতে আছেন পুলিশ সুপার।
হবিগঞ্জের পুলিশ সুপার জয়দেব কুমার ভদ্র বলেন, তদন্তে আমাদের উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি হয়েছে। আমরা চারজন আসামীর কাছ থেকে স্বীকারোক্তিমুলক জবানবন্দি পেয়েছি এবং সেই জবানবন্দি অনুসারে কিছু আলামত উদ্ধার করা হয়েছে।
‘ঘটনার বিবরণ, কারণ এবং এর সাথে যুক্ত ব্যক্তিদের সনাক্ত করা হয়েছে। আমরা আশা করছি দ্রুতই এই মাসের মধ্যেই মামলার তদন্ত শেষ করে আদালতে চার্জশিট দাখিল করা হবে,’ বলে জানান পুলিশ সুপার।
তিনি বলেন: যেহেতু চার শিশু হত্যার মতো চাঞ্চল্যকর ঘটনা, তাই খুব দ্রুত যাতে বিচার শেষ হয় এবং সেক্ষেত্রে দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালে হওয়ার সম্ভাবনাই বেশি।
আসামীদের গ্রেফতার করায় সন্তুষ্ট চার শিশুর স্বজনরা। তবে দ্রুত বিচারে সর্বোচ্চ শাস্তির দাবি তাদের। শিশু রাজন হত্যাকাণ্ডের মতো চার শিশু হত্যা মামলাতেও দ্রুত বিচার হবে বলে পরিবারগুলো আশা করছে।