করোনাভাইরাসের কারণে প্রায় ৪ মাস বন্ধ থাকার পর গত ২১ জুন থেকে জেদ্দা বাংলাদেশ কনস্যুলেট পুরোদমে কাজ শুরু করলেও প্রবাসীদের সেবা দিতে হিমশিম খাচ্ছেন সংশ্লিষ্টরা।
জানা গেছে, প্রতিদিন পনেরশ থেকে দুই হাজার প্রবাসীকে সেবা দেয়া হচ্ছে। প্রায় ৪ মাসের কাজ জমা পড়ে যাওয়ায়, প্রবাসীরা কিছুটা বিলম্বে সেবা পেলেও আগামী সপ্তাহ থেকে তা স্বাভাবিক হয়ে যাবে বলে আশ্বাস দিয়েছেন কনসাল জেনারেল।
প্রাণঘাতী করোনাভাইরাসের কারণে প্রায় ৪ মাস সরকারি অফিস আদালতে ৪০ ভাগ স্টাফ দিয়ে পরিচালনার নির্দেশনা দেন সৌদি সরকার। স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনায় দৈনিক ৫০ জনের বেশি প্রবাসীকে সেবা দিতে পারেনি কনস্যুলেট কর্তৃপক্ষ। এসময় অনলাইন সেবা অব্যাহত থাকলেও, স্বশরীরে কন্সুলেটে আসতেও পারেননি দেশটিতে থাকা প্রবাসী বাংলাদেশিরা।
এর মধ্যে আন্তর্জাতিক ফ্লাইট বন্ধ থাকায়, দেশ থেকে সময় মত পাসপোর্ট না যাওয়ায় প্রবাসীরা যেমন পাসপোর্ট হাতে পাননি, তেমনি পাসপোর্ট রি ইস্যুর জন্য জমা দিতে না পারায়, অনেকের পাসপোর্ট এর মেয়াদ ইতোমধ্যে শেষ হয়ে গেছে। এতে করে তারা আকামাও নবায়ন করতে পারেননি।
২১ জুন সৌদি থেকে কারফিউ প্রত্যাহারের পর, কনস্যুলেট পুনরায় সেবা কার্যক্রম শুরু করে। এখন প্রতিদিন অনেক প্রবাসী কনস্যুলেট থেকে সেবা নিতে ভীড় জমাচ্ছেন, যাদের বেশিরভাগ ১ বছরের নবায়ন প্রত্যাশী, আবার অনেকে নতুন পাসপোর্ট সংগ্রহ করতে যাচ্ছেন।