সামাজিক অস্থিরতার সঙ্গে মানসিক রোগীর সংখ্যা বাড়লেও সুযোগ-সুবিধা বাড়ছে না মানসিক স্বাস্থ্য চিকিৎসার। বরং বন্ধ হওয়ার পথে পাবনায় বিশেষায়িত মানসিক হাসপাতালের চিকিৎসা সেবা। পাঁচশ’ আসনের হাসপাতালে চিকিৎসক মাত্র ৪ জন।
যে বখাটে যুবক উত্যক্ত করতো সেই বখাটের সঙ্গেই বিয়ে দেওয়া হয়। দেড়মাসের মাথায় ছাড়াছাড়ি। মানসিকভাবে অসুস্থ হয়ে পড়ে মেয়েটি। এরপর এ সমস্যার কথা গোপন রেখে এক প্রবাসীর সঙ্গে দ্বিতীয় বিয়ে। আবারো সংসার ভাঙা। এখন তার স্থান এই মানসিক হাসপাতালেই।
দেশে গুরুতর মানসিক রোগী ১৪ লাখ, বিষন্নতার রোগী ৬৪ লাখ আর লঘু মানসিক রোগী এক কোটি ১৭ লাখ।
দেশের সবচেয়ে বড় মানসিক হাসপাতাল পাবনায়। পাঁচশ’ আসনের এ হাসপাতালে এখন চিকিৎসক মাত্র ৪ জন। নেই সিনিয়র কনসালট্যান্ট, ক্লিনিক্যাল সাইকিয়াট্রিস্ট এমনকি আবাসিক মেডিকেল অফিসারও।
রোগী আর আত্মীয়স্বজনের কিছু অভিযোগ থাকলেও জনবল সংকটের অজুহাত তুলে রেহাই পেয়ে যান কর্তৃপক্ষ।
দু’শ’ শয্যার সময় থেকেই ৫শ’২২টি পদ। এরপর ৫শ’ শয্যায় উন্নীত হলেও পদ বাড়েনি। বরং আগের কাঠামোর দেড়শ’ পদই এখনও শূন্য।