দেশের ৪ কোটি মানুষের কর দেয়ার সামর্থ্য রয়েছে বলে জানিয়েছেন জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) চেয়ারম্যান মোশাররফ হোসেন ভূঁইয়া।
বুধবার সেগুনবাগিচায় এনবিআরের সম্মেলনকক্ষে রাজস্ব আহরণ নিয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন। এসময় এনবিআরের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
মোশাররফ হোসেন ভূঁইয়া বলেন, ৪ কোটি লোকের কর দেওয়ার সামর্থ্য আছে। কিন্তু তাদের বেশির ভাগই স্বতঃপ্রণোদিতভাবে কর দেন না। আমরা তাদের কর জালে আনার উদ্যোগ নিয়েছি।
বর্তমানে সারা দেশে ৪০ লাখ কর শনাক্তকরণ নম্বরধারী (টিআইএন) বা নিবন্ধিত করদাতা আছেন। এর মধ্যে ২২ লাখ টিআইএনধারী গত বছর বার্ষিক আয়কর বিবরণী জমা দিয়েছেন।
এনবিআর চেয়ারম্যান জানান, নতুন করদাতা খুঁজে বের করতে এনবিআরের ২১৩টি দল কাজ করছে। এসব দলে কর কর্মকর্তাদের পাশাপাশি বিশ্ববিদ্যালয় পড়ুয়া শিক্ষার্থীরা আছেন। গত অর্থবছরে ৩ লাখ ৩১ হাজার ২৭২ জন নতুন করদাতা পাওয়া গেছে। তাদের কাছ থেকে ২৮ কোটি টাকা কর আদায় করা গেছে।
রিটার্ন জমা না দিলে শাস্তির ব্যবস্থা করবে এনবিআর, এমন হুঁশিয়ারি দিয়ে তিনি বলেন, চলতি অর্থবছরে ৬ লাখ ৭২ হাজার নতুন করদাতা পাওয়ার লক্ষ্য নির্ধারণ করা হয়েছে। আশা করি, চলতি বছরে আরও ৪/৫ লাখ নতুন করদাতা বার্ষিক রিটার্ন জমা দেবেন। যারা টিআইএন নিয়েছেন এবং করযোগ্য আয় আছে, কিন্তু রিটার্ন জমা দেবেন না, তাদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
রাজস্ব আদায়ের পরিমাণ কমেছে উল্লেখ করে এনবিআর চেয়ারম্যান বলেন, জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) ২০১৮-১৯ অর্থবছর ২ লাখ ২৩ হাজার ৮৯২ কোটি ৪২ লাখ টাকার রাজস্ব আদায় করেছে। এ অর্থবছরে রাজস্ব আদায়ে প্রবৃদ্ধির হার ১০ দশমিক ৭ শতাংশ।
বিভিন্ন সেক্টরের ভ্যাট অব্যাহতি, বিভিন্ন পণ্য আমদানিতে শুল্ক ও আয়কর অব্যাহতি দেওয়া ও বড় বড় প্রকল্প চালু করায় গতবছর রাজস্ব আদায়ের প্রবৃদ্ধি কমেছে বলে জানান তিনি।