আইএসের হামলার ঝুঁকি এবং প্রতিযোগীরা বার বার হত্যার হুমকি পাওয়ার পরও এবার ইরাকে সফলভাবে অনুষ্ঠিত হলো ‘মিস ইরাক ২০১৫’ প্রতিযোগিতা। দীর্ঘ ৪৪ বছর পর দেশটিতে এই প্রতিযোগিতা আয়োজিত হলো।
১৯৭২ সালের পর প্রথমবারের মতো মিস ইরাক খেতাবটি জিতলেন ইরাকের কিরকুক এলাকার অধিবাসী ২০ বছর বয়সী শায়মা আবদেলরাহমান।
বাগদাদের একটি হোটেলে আটজন প্রতিযোগী নিয়ে অনুষ্ঠিত হয় প্রতিযোগিতাটি। অনু্ষ্ঠানে সুন্দর পোশাক আর হাইহিলে সেজে প্রতিযোগীরা উপস্থিত হন বিচারকদের সামনে। আলোচনা করেন তাদের ভবিষ্যৎ জনসেবামূলক প্রকল্প নিয়ে।
এই প্রতিযোগিতার মধ্য দিয়ে আসন্ন মিস ইউনিভার্স প্রতিযোগিতায় ইরাকের প্রতিনিধি পাঠানো নিশ্চিত হলো।
মিস ইরাক প্রতিযোগিতার শিল্পবিষয়ক পরিচালক সেনান কামেল যুক্তরাজ্যভিত্তিক গণমাধ্যম গার্ডিয়ানকে বলেন, ‘প্রতিযোগিতাটির মাধ্যমে আমরা ইরাকের কথা সবার কানে পৌঁছে দিতে চাই, দেখাতে চাই ইরাক এখনো জীবিত, এর হৃদয় এখনো স্পন্দিত হচ্ছে।’
বছরের পর বছর ধরে চলে আসা সংঘাতের কারণে এতোদিন প্রতিযোগিতার আয়োজন বন্ধ ছিলো।
নিজের সেবামূলক প্রকল্পের ব্যাখ্যা দিতে গিয়ে শায়মা আবদেলরাহমান বলেন, মিস ইরাকের খ্যাতিকে ব্যবহার করে তিনি শিক্ষা সংক্রান্ত বিভিন্ন উদ্যোগে সহায়তা করবেন। বিশেষ করে চলমান যুদ্ধে হাজারো ঘরহারা মানুষের শিক্ষাগ্রহণের সুযোগ সৃষ্টিতে কাজ করবেন তিনি।
গার্ডিয়ানকে শায়মা বলেন, ‘ইরাককে এগিয়ে যেতে দেখে আমি খুবই আনন্দিত। এটি ছিলো বিশাল এক আয়োজন, যা ইরাকিদের মুখে হাসি ফুটিয়েছে।’
মানবাধিকার কর্মী হানা এডওয়ার্ড মনে করেন অনুষ্ঠানটি চমৎকার একটি উদ্যোগ, ‘এটা আপনাকে অনুভব করাবে যে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়ে আসার সুযোগ রয়েছে।’
গত অক্টোবরে হওয়ার কথা থাকলেও অংশগ্রহণকারীরা হত্যার হুমকি পাওয়ায় প্রতিযোগিতার তারিখ পেছানো হয়।
ছবিতে ‘মিস ইরাক ২০১৫’
বিজয়ী শায়মা আবদেলরাহমান
মিস ইরাক রানার আপ ঘোষণার পর হাসিমুখে ফারাহ নাসির
মঞ্চে প্রতিযোগীরা
মিস ইরাক খেতাব জেতার আগে শায়মা আবদেলরাহমান
প্রতিযোগিতার মূল অনুষ্ঠানের আগে ব্যাবিলন সফরে প্রতিযোগীরা