স্বাধীনতার পর থেকে এই ৪৪ বছরে বাংলাদেশের জাতীয় বাজেটের আকার বেড়েছে ৩৮১ গুণ। দেশের প্রথম বাজেটের আকার ছিলো ৭৮৬ কোটি টাকা, আগামী অর্থবছরে বাজেটের আকার হচ্ছে তিন লাখ কোটি টাকার কাছাকাছি।
আজ বিকেলে বর্তমান অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আব্দুল মুহিত নবম বারের মতো জাতীয় সংসদে এই বাজেট পেশ করবেন।
অর্থমন্ত্রী তাজউদ্দিন আহমদের দেয়া ৭৮৬ কোটি টাকার বাজেটই ছিলো স্বাধীন বাংলাদেশের প্রথম বাজেট। ৪ জুন আবুল মাল আব্দুল মুহিত যে বাজেট উপস্থাপন করতে যাচ্ছেন তার আকার প্রায় তিন লক্ষ কোটি টাকা। যা আকারে ১৯৭২-৭৩ অর্থ বছরের তুলনায় পৌনে চারশ’ত গুনেরও বেশি।
রাজস্ব আয়ের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ২,১৮,৭৭০ কোটি টাকা। এর মধ্যে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড এনবিআর নিয়ন্ত্রিত কর ১,৭৬,৩৭০ কোটি টাকা। এনবিআর বহির্ভূত কর ৩২,৪০০ কোটি টাকা।
ব্যাংকিং খাত থেকে আসবে ৩৮,৩০০ কোটি টাকা। সঞ্চয় পত্র থেকে ১৪,৫০০ কোটি, বিদেশী সাহায্য ৩০,৪৫০ কোটি টাকা। বাজেটে ঘাটতি থাকছে ৮৬,২৫০ কোটি টাকা। যা জিডিপির শতকরা ৫ ভাগ।
বাজেটে বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচী এডিপির আকার চূড়ান্ত করা হয়েছে, ৯৭ হাজার কোটি টাকা। এর মধ্যে ৩৪ শতাংশ বিদেশী সহায়তা, ৩৪,৫০০ কোটি টাকা। আর স্থানীয় অর্থায়ন ৬৪ শতাংশ, ৬২,৫০০ কোটি টাকা।
চলতি বছর ২০১৪-১৫ বছরে মূল বাজেট ২,৫০,০০০ হাজার কোটি টাকা ছিলো। যা সংশোধনের পর দাঁড়িয়েছে ২,৪০,০০০ হাজার কোটি টাকা।