বন্যার পানিতে ৪৪ দিন ভেসে বেড়ানো বুনো হাতি আজ বিকালে জামালপুরের সরিষাবাড়ি উপজেলার কয়ড়া গ্রাম থেকে উদ্ধার করেছে বনবিভাগ। আসাম থেকে পাহাড়ী ঢলে ভেসে আসা বুনো হাতিটি পানি থেকে ডাঙ্গায় উঠলে ট্যাঙ্কুলাইজার গান দিয়ে গুলি করে শরীরে চেতনা নাশক ওষুধ প্রয়োগ করা হয়।
পাহাড়ী ঢলে আসাম থেকে ভেসে আসা হাতিটি গত ৪৪ দিন ধরে বন্যার পানিতে ভেসে বেড়াচ্ছিল। বিভিন্ন স্থান ঘুরে বুনো হাতিটি গত ১১ দিন ধরে জামালপুরের সরিষাবাড়ি উপজেলার বিভিন্ন স্থান ঘুরে বেড়াচ্ছিল।
আজ (বৃহস্পতিবার) বিকালে হাতিটি সরিষাবাড়ি উপজেলার কয়ড়া গ্রামে ডাঙ্গায় উঠলে বনবিভাগের লোকজন ট্যাঙ্কুলাইজার গান দিয়ে গুলি করে হাতিটিকে অচেতন করে। এ সময় হাতিটি উত্তেজিত হয়ে দৌড় দিলে স্থানীয় একটি ডোবায় পড়ে যায়। পরে শত শত গ্রামবাসীর সহায়তায় হাতিটিকে উদ্ধার করা হয়।
ভারতের ৩ সদস্য ও বাংলাদেশের ১৭ সদস্যর একটি দল হাতিটি উদ্ধারের চেষ্টা চালিয়ে আসছিল। ভারতীয় প্রতিনিধি দল গত ৪ আগস্ট থেকে ৬ আগস্ট পর্যন্ত এলাকায় থেকে উদ্ধার না করেই ফিরে যায়। এর পর বাংলাদেশের বনবিভাগের ১৭ সদস্যর একটি দল হাতিটিকে উদ্ধারের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছিল।
বন্যার পানি দ্রুত হ্রাস পাওয়ায় হাতিটি ডাঙ্গায় উঠে। এতে হাতি উদ্ধার কাজ সহজ হয়। উদ্ধার করা হাতিটি কয়েকদিন সরিষাবাড়িতেই রাখা হবে। এর পর উন্নত চিকিৎসার জন্য বঙ্গবন্ধু সাফারী পার্কে নেয়া হবে।
হাতিটি উদ্ধার হওয়ায় আতঙ্কিত স্থানীয় লোকজনের মাঝে স্বস্তি ফিরে এসেছে।
বুনো হাতিটি গত ২৮ জুন ভারতের আসাম থেকে পাহাড়ী ঢলে বাংলাদেশের কুড়িগ্রাম জেলায় ভেসে আসে। এর পরে জামালপুর, গাইবান্দা. বগুড়া, সিরাজগঞ্জ জেলার বিভিন্ন চর ঘুরে কয়েকদিন ধরে সরিষাবাড়িতে অবস্থান করে।