দিল্লিতে লকডাউন শিথিলের পর খুলে দেওয়া হয়েছে মদের দোকানগুলো৷ দিল্লি সরকারের স্পষ্ট নির্দেশনা, সামাজিক দূরত্ব মেনে দোকান থেকে মদ কিনতে হবে। সেই সঙ্গে যোগ করা হয়েছে ৭০ শতাংশ অতিরিক্ত করোনা ফি।
কেজরিওয়াল সরকার ভেবেছিলো, তাদের এ সিদ্ধান্তে হয়তো কিছুটা হলেও চাপ কমবে মদের দোকানগুলোতে। কিন্তু সম্পূর্ণ উল্টো চিত্র। সকাল ৯টায় দোকানগুলো খোলার কথা থাকলেও ভোর ৫টার পর থেকেই লাইনে দাঁড়াতে দেখা গেছে মদ কিনতে আসা ব্যক্তিদের। যেখানে ছিলো না সামজিক দূরত্ব মানার বিন্দুমাত্র নমুনা৷
এমনই চিত্র নিয়ে প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে ভারতের অন্যতম প্রভাবশালী গণমাধ্যম এনডিটিভি। তাদের প্রতিবেদনে তুলে ধরা হয়েছে দিল্লির বিশ্বাস নগরের মহারাজা সুরজমল মার্গের পাশের একটি মদের দোকানের চিত্র।
সেখানে কৃষ্ণনগর থেকে মদ কিনতে ভোর থেকে লাইনে ঠাসাঠাসি করে দাঁড়ানো এক ব্যক্তি তার অভিব্যক্তি তুলে ধরেছেন ঠিক এভাবে: সেই সকাল ৫টার পর থেকেই লাইনে দাঁড়িয়ে আছি। ৪২ দিন পর গলা ভেজাতে পারবো, এটা ভেবেই আনন্দ লাগছে।
সামাজিক দূরত্ব মানা হচ্ছে না, বিষয়টি সম্পর্কে ওই ব্যক্তির দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে তিনি বলেন: ভিড় হবে বলে সেই সকাল থেকে লাইনে এসে দাঁড়িয়ে আছি। সকাল ৯টায় দোকান খোলার কথা, এর মাঝে পুলিশও এসে ঘুরে গেছে। এখন যদি ঝামেলা (লাইনে সামাজিক দূরত্ব না মানা) হয়, আমার কী করার আছে!
এরপরই আসে ৭০ শতাংশ অতিরিক্ত করোনা ট্যাক্স বসানোর ইস্যুটি। সেখানে ওই ব্যক্তির স্পষ্ট জবাব: ধরে নিন না, দেশকে দান করছি!
অর্থনীতিকে চাঙ্গা করতে কেজরিওয়াল সরকার মদের ওর ৭০ শতাংশ করোনা ট্যাক্স বসিয়ে ছিলো, মন্দার মধ্যে এতে কিছুটা হলেও অর্থনীতি চাঙ্গা হবে। কিন্তু দিল্লি সরকারের এ সিদ্ধান্ত বিপদ ডেকে আনলো কিনা এমন প্রশ্ন এখন সচেতন মহলে।