ভারতের তামিলনাড়ুতে নোকিয়া কারখানায় প্রায় ৪২ জন কর্মীর শরীরে মিলেছে করোনা সংক্রমণ। তারপর থেকেই কারখানা বন্ধ ঘোষণা করেছে নোকিয়া কর্তৃপক্ষ।
তবে কোভিড-১৯ সংক্রমণের ঘটনাটি গত সপ্তাহ হলেও মঙ্গলবার জানানো হয়েছে সংস্থার তরফ থেকে।
নোকিয়া জানায়, তামিলনাড়ুর শ্রীপেরমবুদুরের কারখানায় ঠিক কতজন শ্রমিক করোনা পজিটিভ, তার নিশ্চিত সংখ্যা জানা না গেলেও প্রাথমিকভাবে প্রায় ৪২ জনের শরীরে মিলেছে করোনা সংক্রমণ ঘটেছে। লকডাউন চলার মধ্যেই সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে নিয়ন্ত্রিতভাবে শুরু করা হয়েছিল কারখানার কাজ।
বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘অল্প সংখ্যাক কর্মী দিয়ে আমরা দ্রুত আবার কাজ শুরু করব।’ লকডাউন তোলার পর নোকিয়ার মতো পরিস্থিতির সম্মুখীণ হতে হবে বহু সংস্থাকেই। সেক্ষেত্রে প্রয়োজন চূড়ান্ত সাবধানতা অবলম্বন করার।
বুধবার ভারতের মেডিক্যাল বুলেটিনে জানানো হয়েছে, ভারতে আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ১,৫১,৭৬৭ জন। গত ২৪ ঘণ্টায় মৃত্যু হয়েছে আরও ১৭০ জনের। করোনায় মৃতের সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ৪,৩৩৭। সেরে উঠেছেন ৬৪,৪২৬ জন।
ভারতে সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত যথাক্রমে মহারাষ্ট্র, তামিলনাড়ু, গুজরাট ও দিল্লি। শুধুমাত্র মহারাষ্ট্রতেই ৫০,০০০-এরও বেশি মানুষ করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন।