তিন ধরনের কাঁচা পাট রপ্তানির বিপরীতে কোনও ঋণপত্র (এলসি—লেটার অব ক্রেডিট) খোলা যাবে না। এগুলো হলো- বাংলা তোষা রিজেকশন (বিটিআর), আনকাট ও বাংলা হোয়াইট রিজেকশন (বিডব্লিউআর)। বাংলাদেশ ব্যাংক বৃহস্পতিবার এ সংক্রান্ত নির্দেশনা দিয়ে তা সব বাণিজ্যিক ব্যাংকে পাঠিয়েছে।
তবে ১৮ জানুয়ারির আগে খোলা এলসির বিপরীতে এ তিন ধরনের পাট রপ্তানিতে কোনও বাধা নেই।
পাটকাঠি থেকে পাটের আঁশ ছাড়ানোর পর রোদে শুকিয়ে সরাসরি যে পাট পাওয়া যায় তাকে বলা হয় আনকাট। তাতে ভালো-মন্দ সব অংশই থাকে। তোষা জাতের পাটের খারাপ অংশটুকুকে বলা হয় বিটিআর। আর সাদা জাতের পাটের খারাপ অংশকে বলে বিডব্লিউআর ।
পাট ও বস্ত্র মন্ত্রণালয়ের প্রজ্ঞাপনের কথা উল্লেখ করে বাংলাদেশ ব্যাংকের ওই নির্দেশনায় বলা হয়েছে, এ বছরের ১৮ জানুয়ারি অথবা তার আগে রপ্তানির জন্য যেসব এলসি বা টিটি খোলা হয়েছে, অথচ তার বিপরীতে ক্রেতার চাহিদা মোতাবেক জাহাজীকরণ করা সম্ভব হয়নি, কেবল সেসব এলসির বিপরীতে আনকাট, বিটিআর ও বিডব্লিউআর নামে কাঁচা পাট রপ্তানি কার্যকর হবে।
এর আগে ১৮ জানুয়ারি এ তিন ধরনের কাঁচা পাট রপ্তানিতে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে পাট ও বস্ত্র মন্ত্রণালয়।
ওই নির্দশনায় বলা হয়েছিল, ‘পাট আইন, ২০১৭-এর ধারা-১৩ মোতাবেক পুনরাদেশ না দেওয়া পর্যন্ত আনকাট, বিটিআর ও বিডব্লিউআর নামে কাঁচা পাটের রপ্তানি বন্ধ করা হলো। অন্যান্য কাঁচাপাট রপ্তানি যথারীতি অব্যাহত থাকবে। জনস্বার্থে জারিকৃত এ আদেশ অবিলম্বে কার্যকর হবে।’
এর আগে ২০১৫ সালের ৩ নভেম্বর একমাসের জন্য সব ধরনের কাঁচা পাট রপ্তানিতে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছিল সরকার। এর একমাস পর এ নিষেধাজ্ঞার মেয়াদ অনির্দিষ্টকাল করা হয়। তবে ২০১৬ সালের ৩ এপ্রিল সেই নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করা হয়।