বিশ্বকাপের প্রথম হ্যাটট্রিকের সঙ্গে জড়িয়ে আছে ভারতের নাম। অথচ দ্বিতীয় হ্যাটট্রিকের জন্য তাদের অপেক্ষা করতে হল তিন দশকেরও বেশি সময়। ৩২ বছর পর বিশ্বকাপে দ্বিতীয় হ্যাটট্রিকের দেখা পেল দুবারের চ্যাম্পিয়নরা।
শনিবার রুদ্ধশ্বাস ম্যাচে আফগানিস্তানকে ১১ রানে হারিয়েছে ভারত। ম্যাচের শেষ ওভারে হ্যাটট্রিক করে দলকে মধুর জয় এনে দেন ২৮ বছর বয়সী ডানহাতি পেসার মোহাম্মদ সামি।
৫০তম ওভারের তৃতীয় বলে মোহাম্মদ নবিকে ক্যাচ আউটে শিকার বানান সামি। চতুর্থ বলে আফতাব আলমকে বোল্ড করে হ্যাটট্রিকের সম্ভাবনা জাগান। পঞ্চম বলে মুজিব-উর রহমানকে বোল্ড করেই সেই হ্যাটট্রিক পূর্ণ করেন।
বিশ্বমঞ্চে হ্যাটট্রিকের এটি দশম কীর্তি। তবে ভারতের দ্বিতীয়। সবমিলিয়ে নবম বোলার হিসেবে বিশ্ব আসরে হ্যাটট্রিক করার গৌরব অর্জন করলেন সামি। শ্রীলঙ্কান পেসার লাসিথ মালিঙ্গা একাই করেছেন দুবার।
বিশ্বকাপের প্রথম তিন আসরে কোনো হ্যাটট্রিক দেখেনি বিশ্ব। ১৯৮৭ সালে, চতুর্থ আসরে এসে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে হ্যাটট্রিক করে ইতিহাসে জায়গা করে নেন ভারতের চেতন শর্মা। পরে দ্বিতীয় হ্যাটট্রিকটি দেখতে আরও ১২ বছর অপেক্ষা করতে হয়। ১৯৯৯ বিশ্বকাপে পাকিস্তানের সাকলায়েন মোশতাক হ্যাটট্রিক খরা কাটান।
পরে ১৯৯৯ থেকে প্রতি আসরেই হ্যাটট্রিক দেখে ক্রিকেটবিশ্ব। ২০০৩ বিশ্বকাপে ব্রেট লি ও চামিন্ডা ভাস হ্যাটট্রিক করেন। ২০০৭ আসরে সাউথ আফ্রিকার বিপক্ষে হ্যাটট্রিক করার পথে টানা চার বলে চার উইকেট নেন লাসিথ মালিঙ্গা। ২০১১ বিশ্বকাপেও হ্যাটট্রিক করে রেকর্ডবুকে জায়গা করে নেন লঙ্কান পেসার।
ইতিহাসের প্রথম বোলার হিসাবে বিশ্বকাপের দুই আসরে হ্যাটট্রিক করার কীর্তি কেবল মালিঙ্গাই। ২০১১ আসরে ওয়েস্ট ইন্ডিজের কেমার রোচও হ্যাটট্রিক করেন। গত আসরে দুটি হ্যাটট্রিক দেখেছে বিশ্ব। ইংল্যান্ডের স্টিভেন ফিন ও সাউথ আফ্রিকার জেপি ডুমিনি হ্যাটট্রিক করার কৃতিত্ব অর্জন করেন।