গণমাধ্যম কর্মীসহ বিভিন্ন শ্রেণিপেশার মানুষের তীব্র আপত্তি ও সমালোচনার মুখে প্রস্তাবিত ডিজিটাল সিকিউরিটি অ্যাক্টের ৩২ ধারার পক্ষে নিজের অবস্থান স্পষ্ট করে আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বলেছেন, অনুসন্ধানী সাংবাদিকতায় (ইনভেস্টিগেশন জার্নালিজমে) বাধা হবে না এই ধারা।
মঙ্গলবার ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে সুপ্রিমকোর্ট বিটে কর্মরত সাংবাদিকদের সংগঠন ল’ রিপোর্টার্স ফোরাম আয়োজিত মিট দ্যা প্রেসে তিনি একথা বলেন।
সাংবাদিকসহ নানা পেশার মানুষকে ক্রমাগত হয়রানির মুখে তথ্য ও যোগাযোগপ্রযুক্তি (আইসিটি) আইনের ৫৭ ধারা বাতিলের দাবি ছিল দীর্ঘদিনের।
গত সোমবার মন্ত্রিসভার বৈঠকে সেই ৫৭ ধারা বাতিল করে ‘ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন- ২০১৮’ এর খসড়া অনুমোদন দেয়া হয়েছে। এই নতুন আইন পাস হলে তথ্য প্রযুক্তি আইনের ৫৪, ৫৫, ৫৬, ৫৭ ও ৬৬ ধারা বিলুপ্ত হবে বলে জানান হয়।
সেই খসড়া অনুমোদনের পর থেকে তা নিয়ে ব্যাপক বিতর্ক তৈরি হয়। বিশেষ করে ৩২ ধারা নিয়ে। এই ধারায় বলা হয়েছে- কোনো সরকারি, আধাসরকারি বা স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠানে ঢুকে কেউ কোনো কিছু রেকর্ড করলে তা গুপ্তচরবৃত্তির অপরাধ হবে। এর জন্য ১৪ বছরের জেল এবং ২০ লাখ টাকা জরিমানার বিধান রাখা হয়েছে।
এর প্রতিবাদে অনেক সাংবাদিক কাগজে ‘#আমিগুপ্তচর’ লিখে ছবি তুলে নতুন প্রোফাইল ছবি হিসেবে তা আপলোড করেন।
মিট দ্যা প্রেস অনুষ্ঠানে আইনমন্ত্রী দাবি করেন, ‘আমি বলতে চাই ডিজিটাল সিকিউরিটি অ্যাক্টের ৩২ ধারা অনুসন্ধানি সাংবাদিকতায় কোনো বাধা হবে না। আর অনুসন্ধানী সাংবাদিকতা করার জন্য যদি কোনো সাংবাদিককে ৩২ ধারায় অভিযুক্ত করা হয় তাহলে আমি একজন আইনজীবী হিসেবে বিনা ফিতে তার জন্য আদালতে দাঁড়াব।’
অনুসন্ধানী সাংবাদিকতাকে সুরক্ষা দিতে প্রয়োজনে ৩২ ধারায় একটি উপ-ধারা সংযুক্ত করার কথাও জানান মন্ত্রী
অনুষ্ঠানে ল’ রিপোর্টার্স ফোরামের সভাপতি আশুতোষ সরকার, সহ-সভাপতি মাশহুদুল হক, সাধারণ সম্পাদক আজিজুল ইসলাম পান্নু, সাবেক সভাপতি এম. বদিউজ্জামান প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।