রান দরকার ৬৬। উইকেট হাতে ৬টি। সময় আছে ওভারের হিসেবে প্রায় এক সেশন। উইকেটে খুঁটি গেড়ে বসে সেট দুই ব্যাটসম্যান। এমন লক্ষ্যে জেতার সম্ভাবনা থাকে যেকোনো দলেরই। ইস্ট জোন এগোচ্ছিল সেপথেই। কিন্তু দুই ব্যাটসম্যান আউট হতেই পথহারা। বগুড়ায় দারুণ খেলা উপহার দিয়েও জয়ের খুব কাছে থেকে ফিরেছে ইস্ট। লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে তিনশর উপরে রান তুলেও মাত্র ছয় রানের জন্য সেন্ট্রালের সঙ্গে পয়েন্ট ভাগাভাগি করেছে তারা।
বিসিএলের তৃতীয় রাউন্ডের শেষদিনে সেন্ট্রাল জোনের ৩২৬ রানের লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে ৩ উইকেট হাতে রেখে ৩২০ রানে পৌঁছে ম্যাচ ড্র করে মাঠ ছেড়েছে ইস্ট জোন।
তৃতীয় দিনে ২ উইকেটে ৭১ রানে দিন শেষ করা ইস্টকে ম্যাচ জিততে শেষদিনে করতে হতো ২৫৫ রান। আগের দুই ম্যাচ বিবেচনায় যা বেশ কঠিনই। কঠিন কাজই সহজ করে ফেলেন আগের দিনের দুই অপরাজিত ব্যাটসম্যান মাহমুদুল হাসান ও মোহাম্মদ আশরাফুল। দুজনের ১০৩ রানের জুটিতে জয়ের রাস্তা পরিষ্কার হতে থাকে ইস্টের।
সেন্ট্রালের বিপক্ষে বল হাতে দ্বিতীয় ইনিংসে ৪ উইকেট নেয়া আশরাফুল ৬৪ রানে ফিরলে তাসামুল হককে নিয়ে হাল ধরেন মাহমুদুল হাসান। তুলে নেন ক্যারিয়ারের প্রথম ফার্স্টক্লাস সেঞ্চুরিও। পঞ্চম উইকেট জুটিতে আসে ১১২ রান।
২৪২ বলে ১২ চারে ১৩৫ রান করা মাহমুদুল ফিরতেই ইস্টের ঘারে চেপে বসেন সেন্ট্রালের পেস বোলার শহিদুল ইসলাম। ইস্টের রান তখন ২৮৪। দ্রুত মাহিদুল ইসলাম অঙ্কন ও ফরহাদ রেজাকে ফিরিয়ে প্রতিপক্ষকে চাপে ফেলে দেন শহিদুল। পরে ব্যাট করতে নেমে আর চাপ নিতে পারেননি এনামুল হক জুনিয়র ও আবু জায়েদ রাহি। দুজনের ধীরগতির ব্যাটিংয়ে জয় থেকে মাত্র ছয় রান দূরে থাকতে ড্র মানে ইস্ট ও সেন্ট্রাল জোন।
ড্র হয়েছে চট্টগ্রামের সাউথ ও নর্থের জোনের ম্যাচটিও। জুনায়েদ সিদ্দিকীর ১১২ রানে ভর করে ৩৯৪ রানে প্রথম ইনিংস শেষ করে নর্থ। দ্বিতীয় ইনিংসে সাউথ ৫ উইকেটে ২৪৮ রান করলে ড্রয়েই শেষ হয় বিসিএলের তৃতীয় রাউন্ড।