আসন্ন ৩০ ডিসেম্বর জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জনগণের ভোটে নির্বাচিত যে সরকারই ক্ষমতায় আসুক, ওই সরকারের ৩০০ এমপিদের (মেম্বার অব পার্লামেন্ট) কাছে ৩০০ সিনেপ্লেক্স চাইলেন চিত্রনায়ক বাপ্পী চৌধুরী। চ্যানেল আই অনলাইনকে ঢাকাই ছবির এই সুলতান বলেন, এমপি মহোদয়দের কাছে সহানুভূতি কামনা করছি। ৩০০ জন এমপির কাছে ৩০০ সিনেপ্লেক্স চাই। খেলাধুলা এবং সংস্কৃতি দিয়ে বিশ্বের কাছে দেশ উঁচু স্তরে যেতে পারে। তাই প্রত্যেক এমপি যদি তাদের নির্বাচিত আসনে একটি করে সিনেপ্লেক্স নির্মাণ করেন, তবে আমাদের ইন্ডাস্ট্রি আবার চাঙ্গা হতে সময় লাগবে না।
চিত্রনায়ক বাপ্পী বলেন, খেলাধুলার মাধ্যমে ইতোমধ্যে আমরা বিশ্ব দরবারে সম্মান অর্জন করতে পেরেছি। এবার সিনেমার পালা। কারণ হলিউড, বলিউড তাদের দেশকে রিপ্রেজেন্ট করছে সিনেমা দিয়ে। চীনের মতো দেশে আমাদের পার্শ্ববর্তী দেশের (বলিউড) ছবি রাজত্ব করছে। আমির খানের ‘দঙ্গল’, রজনী কান্তের ‘রোবট ২’ চীন থেকে শতশত কোটি টাকার ব্যবসা করছে। আমরা কেন পিছিয়ে থাকবো? আমাদের তো মেধার কমতি নেই। নির্বাচিত হওয়ার পর এমপি মহোদয়দের কাছে এ বিষয়টি চাই। তাদের অর্থ-ক্ষমতা কোনটারই ঘাটতি নেই। তারা চাইলেই পারবেন।
তিনি বলেন, সারাদেশে ৩০০ এমপি যদি ৩০০ সিনেপ্লেক্স দেন ভালো ভালো ছবি এমনিতেই নির্মিত হবে। অনেক নতুন নতুন নির্মাতা ছবি নির্মাণের জন্য বসে আছেন। সিনেমা নির্মাণ করে প্রদর্শন নিয়ে একটা ধোঁয়াশা কাজ করে, সেজন্য তারা সাহস পাচ্ছেন না। যদি সারাদেশে ৩০০ মাল্টিপ্লেক্স থাকে, তবে অবশ্যই বেশী বাজেটে উন্নত ছবি নির্মাণ করা যাবে। ছবি বিদেশে বাংলাদেশের প্রতিনিধিত্ব করতে পারবে। আমি সিনেমার মানুষ। এ ছাড়া আর কিছু চাওয়ার নেই।
কথা প্রসঙ্গে এই নায়ক সরকারের কাছে দাবী করেছেন, ঢাকা শহর ও দেশের গুরুত্বপূর্ণ জেলা শহরগুলোকে ভার্চুয়াল সিটি বানানোর জন্য। তিনি বলেন, সারা ঢাকা শহর ক্লোজ সার্কিট ক্যামেরা দ্বারা নিয়ন্ত্রিত হবে। ট্রাফিক পুলিশ থাকবে না, সবকিছু মনিটরিং করবে ডিজিটাল ভাবে কম্পিউটারের মাধ্যমে। উন্নত বিশ্বে যেগুলো রয়েছে। ট্রাফিক পুলিশকে যেন রাস্তায় না নেমে যান চলাচল নিয়ন্ত্রণ করতে না হয়। ঢাকার ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণের ক্ষেত্রে প্রযুক্তির ব্যবহারের আরও উৎকর্ষতা আনতে হবে।
সবশেষে বাপ্পী বলেন, আসন্ন নির্বাচন নিয়ে জনসাধারণের মধ্যে একটা আতঙ্ক কাজ করছে। আবার দেশে গণ্ডগোল, জ্বালাও,-পোড়াও কিংবা জনজীবনে অশান্তি নেমে আসে কিনা। এমন নোংরা রাজনীতি পরিহার করা উচিত। নির্বাচন যেন শান্তিপূর্ণ হয়। জনগণ যে সরকারকে চাইবে, জনগণের রায়েই যেন সে সরকার ক্ষমতায় আসে। রাজনীতির কারণে আর যেন প্রাণ না হারায়। সুষ্ঠুভাবে নির্বাচন হয়ে দেশে শান্তি ফিরে আসুক।