কনফেডারেশন অব এশিয়া প্যাসিফিক চেম্বার্স অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিভুক্ত (সিএসিসিআই) ২৭টি দেশ থেকে বাংলাদেশে ২০ দশমিক ৮ বিলিয়ন ডলারের বিনিয়োগ আসতে পারে বলে জানিয়েছে ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠন এফবিসিসিআইয়ের সভাপতি শেখ ফজলে ফাহিম।
বৃহস্পতিবার রাজধানীর হোটেল সোনারগাঁওয়ে এফবিসিসিআই ও সিএসিসিআইয়ের যৌথ সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান তিনি। এসময় উপস্থিত ছিলেন সিএসিসিআইর সভাপতি সামির মোদি।
এফবিসিসিআই সভাপতি শেখ ফজলে ফাহিম বলেন, এই প্রথমবারের মত বাংলাদেশে সিএসিসিআই সম্মেলন অনুষ্ঠিত হলো, যার মাধ্যমে বাংলাদেশের ব্যবসায়ীদের মধ্যে যে নেটওয়ার্ক তৈরি হয়েছে তাতে খুব শিগগিরই একটি বড় বিনিয়োগ আসবে। অবকাঠামো, পর্যটন, অটোমোবাইলসহ দেশের বিভিন্ন খাতে এ বিনিয়োগ হবে। সিএসিসিআই সম্মেলনে অর্থনৈতিক জোনের বিষয়ে আলোচনা হয়েছে। সেখানে সিএসিসিআইয়ের সদস্য দেশগুলো বিনিয়োগ করতে পারবে।
তিনি বলেন, ২০২০ সালে তাইপেতে ‘তাইপে ইনভেস্টমেন্ট সামিট-২০২০’ অনুষ্ঠিত হবে। এফবিসিসিআই এবং সিএসিসিআই যৌথভাবে এই সম্মেলন করবে। সেখানে এই ২০ দশমিক ৮ বিলিয়ন ডলারের একটি বিনিয়োগ পুল আমরা আইডেন্টিটিফাই করেছি। এই বিনিয়োগ হবে বাংলাদেশের অর্থনৈতিক অঞ্চলগুলোতে।
এর আগে এফবিসিসিআই এবং সিএসিসিআইয়ের যৌথ আয়োজনে ৩৩তম সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। দু’দিনের সম্মেলন থেকে প্রাপ্তি সম্পর্কে জানাতেই এই সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়। বাংলাদেশসহ ২৮টি দেশ এতে অংশ নেয়।
সম্মেলনে দুটি চুক্তি সই হয়েছে জানিয়ে শেখ ফাহিম বলেন, ‘এই কনফারেন্সে মস্কো চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির সাথে একটি এমওইউ স্বাক্ষর হয়েছে। বাংলাদেশের সব চেম্বারসহ এফবিআইয়ের সদস্য সংস্থাগুলো ই-চেম্বারের গ্লোবাল প্ল্যাটফর্মে সংযুক্ত হবে। এতে আমাদের রিমোট এলাকার চেম্বারের সদস্যরা তাদের পণ্য বি টু বি প্ল্যাটফর্ম থেকে গ্লোবাল প্ল্যাটফর্মে প্রবেশ করতে পারবে।’
তিনি বলেন, ‘যেমন ফার্নিচার অ্যাসোসিয়েশনের মেম্বাররাও এই নেটওয়ার্কে যাবে৷ বি টু বি প্ল্যাটফর্মে তাদের পণ্য প্রদর্শন করতে পারবে, এতে তাদের মার্কেট শেয়ার আরও বাড়বে। কোন বিনিয়োগ ছাড়াই।’
অন্য চুক্তি প্রসঙ্গে ফাহিম বলেন, ‘আরেকটি চুক্তি হয়েছে ইন্টারন্যাশনাল কলেজ অব অ্যাডাভান্স ইডুকেশন অস্ট্রেলিয়ার সাথে। উনারা আমাদের এফবিসিসিআইয়ের সাথে ট্রেনিং মডিউল শেয়ার করবে। এর ফলে আমাদের উদ্যোক্তাদের কর্মস্বক্ষমতা বাড়বে।’
অনুষ্ঠানে সিএসিসিআই সভাপতি সামির মোদি জানান, ‘বাংলাদেশের অর্থনৈতিক উন্নয়ন খুবই আশাব্যঞ্জক। বিদেশী বিনিয়োগের জন্য বাংলাদেশ এখন পুরোপুরি প্রস্তুত। এখানে আমরা আগের চেয়ে অধিক বিনিয়োগ করতে আগ্রহী। এমনকি মোদি গ্রুপও খুব শিগগিরই বাংলাদেশে তাদের কার্যক্রম শুরু করবে।’