বিশ্বের ৭১ দেশের ৬৬০০’রও বেশি অ্যাথলেট হাজির। উদ্দেশ্য একটাই। ২৩ ডিসিপ্লিনে ২৭৫ স্বর্ণের দৌড়ে দেশের পতাকা বিশ্বের সামনে উঁচিয়ে ধরা। ‘স্বপ্নকে ছড়িয়ে দাও’ -এই স্লোগানকে সামনে রেখে অস্ট্রেলিয়ার কুইন্সল্যান্ডের গোল্ডকোস্টে বুধবার পর্দা উঠল ২১তম কমনওয়েলথ গেমসের।
পদকের লড়াই শুরু হবে বৃহস্পতিবার। বুধবার হয়ে গেল জমকালো উদ্বোধন। আসরকে গতিময় রাখতেও নেয়া হয়েছে নানা উদ্যোগ। সাড়ে ৬ হাজারেরও বেশি অ্যাথলেটরা যেন স্বচ্ছন্দে থাকতে পারেন তার কমতি রাখেনি অস্ট্রেলিয়া।
গেমসের জন্য ২৯ হেক্টর জমিতে নির্মাণ করা হয়েছে অ্যাথলেটদের স্পোর্টস ভিলা। ১২২৫ অ্যাপার্টমেন্টে আরাম-আয়েশ থেকে শুরু করে সুইমিং পুল, ২৪ ঘণ্টা খাওয়া-দাওয়া; সবকিছুরই ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। জনপ্রতি ৩৪টি জম্মনিরোধক প্রদানের ব্যবস্থাও রাখা হয়েছে ভিলাতে।
ইভেন্টে রাখা হয়েছে নারী-পুরুষের সাম্য অবস্থা। অর্থাৎ, সমান সংখ্যক পদকের জন্য লড়বেন নারী-পুরুষ উভয় অ্যাথলেটরাই। প্রথমবারের মত কমনওয়েলথের আসরে অভিষিক্ত হতে যাচ্ছে বিচ ভলিবল, প্যারা ট্রাইথলন ও মহিলাদের সেভেন-এ সাইড রাগবির। সঙ্গে থাকছে ৭টি প্যারা ইভেন্টও।
এই নিয়ে সর্বোচ্চ পঞ্চমবারের মত কমনওয়েলথের আসর আয়োজন করছে অস্ট্রেলিয়া। আগে ১৯৩৮ সালে সিডনি, ১৯৬২ সালে পার্থ, ১৯৮২ সালে ব্রিসবেন ও ২০০৬ সালে মেলবোর্নে আসরটির আয়োজন করেছিল অজিরা।
পদকের লড়াইয়ের আগে বুধবার বিকাল ৪টায় শুরু হয় উদ্বোধনী অনুষ্ঠান। অংশগ্রহণকারী অ্যাথলেটদের শপথ পাফ করান অস্ট্রেলীয় কিংবদন্তি নেটবল কোচ লিসা অ্যালেক্সান্ডার।
বাংলাদেশ থেকে এবার মোট ২৬জন অ্যাথলেট অংশ নিচ্ছেন কমনওয়েলথ গেমসে। অ্যাথলেটিক্স, বক্সিং, শ্যুটিং, সাঁতার, ভারোত্তোলন ও কুস্তি; এই ছয় ডিসিপ্লিনে অংশ নেবেন লাল-সবুজ অ্যাথলেটরা। বাংলাদেশের পতাকা বহন করেন গ্লাসগো কমনওয়েলথ গেমসে রুপা জয়ী শ্যুটার আব্দুল্লাহ হেল বাকী।
১২ দিনের পদকের জমজমাট লড়াই শেষে ১৫ এপ্রিল পর্দা নামবে ২১তম কমনওয়েলথ গেমসের।