গত ২৫ বছরের মধ্যে বর্তমানে প্রবৃদ্ধিতে সবচেয়ে ধীরগতি দেখছে চীন। দেশটির অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি ২০১৪ সালে ছিলো ৭.৩ শতাংশ, যা পরের বছর কমে দাঁড়ায় ৬.৯ শতাংশে। বিশ্ব অর্থনীতির অন্যতম প্রধান চালিকাশক্তি চীনের অর্থনীতি। তাই এই ধীরগতি চিন্তায় ফেলে দিয়েছে গোটা বিশ্বকে।
পৃথিবীর দ্বিতীয় বৃহত্তম অর্থনীতি চীন ২০১৫’র জন্য এর প্রবৃদ্ধির লক্ষ্যমাত্রা ঠিক করেছিলো ৭ শতাংশ। কিন্তু তা পুরোপুরি অর্জন করতে পারেনি। দেশটির প্রধানমন্ত্রী লি কেকিয়াং বলেছেন, যতক্ষণ দেশে নতুন নতুন কর্মসংস্থান তৈরি হতে থাকবে ততক্ষণ পর্যন্ত এতোটুকু দুর্বল প্রবৃদ্ধি গ্রহণযোগ্য।
তবে অনেক পর্যবেক্ষকের দাবি, সরকারি তথ্যের চেয়ে বাস্তবে প্রবৃদ্ধি আরো বেশি দুর্বল। সরকার প্রবৃদ্ধির অংকটি বাড়িয়ে বলছে। এ দাবি অস্বীকার করেছে বেইজিং।
বিশ্লেষকদের মতে, প্রবৃদ্ধি ৬.৮ শতাংশের কম হলে সেক্ষেত্রে বিভিন্ন ধরণের অর্থনৈতিক প্রণোদনার প্রয়োজন পড়বে। চীনের জাতীয় পরিসংখ্যান ব্যুরোর দেয়া তথ্য অনুসারে, ২০১৫ সালের শেষ প্রান্তিকে দেশটির অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি কমে ৬.৮ শতাংশে চলে আসে।
টানা এক দশকেরও বেশি সময় ধরে দ্রুত উত্থানের পর গত দু’বছর ধরে শুধু ধসই নামছে চীনের অর্থনীতিতে। অবস্থা দেখে মনে হয়, চীন সরকার রপ্তানি ও বিনিয়োগের বদলে ব্যয় এবং সেবানির্ভর অর্থনীতির পথে এগিয়ে যাচ্ছে। যা চীনের অর্থনৈতিক ধারার জন্য একটি বিরাট চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে।
বিশেষজ্ঞদের অনেকে মনে করেন, অর্থনীতিকে আবার স্থিতিশীল করে উচ্চ প্রবৃদ্ধি ধরে রাখতে হলে চীনের উচিৎ ব্যয়নির্ভর অর্থনীতি সৃষ্টির পরিবর্তে উৎপাদনের ওপর গুরুত্ব দেয়া।