রাখাইনে নির্যাতনের শিকার হয়ে প্রাণ বাঁচাতে বাংলাদেশে পালিয়ে আসা রোহিঙ্গাদের ২৩ জানুয়ারি থেকে ফিরিয়ে নেয়া শুরু হবে বলে জানিয়েছে মিয়ানমার। তবে বাংলাদেশের কূটনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন, রোহিঙ্গাদের নিজ দেশে ফেরত পাঠানোর প্রক্রিয়া অনেক জটিল। তাই দ্বিপাক্ষিক আলোচনার পাশাপাশি বহুপাক্ষিক কূটনৈতিক চাপ চালিয়ে যেতে হবে।
প্রায় ১০ লাখ রোহিঙ্গাদের ফিরিয়ে দিতে জয়েন্ট ওয়ার্কিং গ্রুপের প্রথম সভা আগামী ১৫ই জানুয়ারি। মিয়ানমারের নেপিদোতে এ সভায় যোগ দিচ্ছেন পররাষ্ট্রসচিব শহীদুল হক।
এর আগে শনিবার মিয়ানমারের সমাজকল্যাণ ও পুনর্বাসন মন্ত্রী উইন মিথ আই জানান, এ মাস থেকেই রোহিঙ্গাদের ফিরিয়ে নেয়া শুরু হবে। ফেরত পাঠানোর প্রক্রিয়ার শুরুতে এক লাখ রোহিঙ্গার তালিকা চেয়েছে মিয়ানমার। যাচাই-বাছাই শেষে চূড়ান্ত অনুমোদন দেবে তারা।
তবে, মিয়ানমারের শর্ত অনুযায়ী তালিকা করা কঠিন বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা। এ বিষয়ে মিয়ানমারে নিযুক্ত সাবেক রাষ্ট্রদূত মেজর জে. (অব.) অনুপ কুমার চাকমা জানান: এক্ষেত্রে উচ্চারণগত কারণে নাম বিভ্রাটের সম্ভাবনা রয়েছে। বিষয়টি জটিল। এতে কোন সন্দেহ নেই।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের অধ্যাপক মুহাম্মদ রুহুল আমীন বলেন: তালিকা করার কাজটা এতই জটিল যে তালিকা তাদের স্থানীয় সরকার, স্থানীয় প্রশাসন, জাতীয় সরকার, কেন্দ্রীয় সরকার, ন্যাশনাল আর্কাইভের সাথে মিল থাকতে হবে।
মিয়ানমারের কূটকৌশল মোকাবিলায় জোরালো কূটনৈতিক পদক্ষেপ এবং রোহিঙ্গাদের ফেরত পাঠানোর পাশাপাশি মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে তাদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা জরুরি বলেও সতর্ক করেছেন তারা।
আরও দেখুন সামিয়া রহমান প্রিমার ভিডিও রিপোর্টে: