বাংলাদেশে ২০২২ সালের মধ্যে বড় ধরণের ভূমিকম্পের আশঙ্কা করছেন একজন ভূমিকম্প বিশেষজ্ঞ।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের দুর্যোগ বিজ্ঞান ও ব্যবস্থাপনা বিভাগের চেয়ারম্যান প্রফেসর ডক্টর এ এস এম মাকসুদ কামাল চ্যানেল আই অনলাইনকে বলেছেন, চট্টগ্রাম সমুদ্র উপকূল, বাংলাদেশ-মিয়ানমার সীমান্ত, বাংলাদেশের পূর্ব অঞ্চল এবং দিনাজপুর শহরে নিকট ভবিষ্যতে তীব্র ভূমিকম্প হতে পারে।
বাংলাদেশসহ ভারতের মনিপুর, যে অঞ্চলে সোমবার সকালে ভূমিকম্প হয়েছে, বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন, প্রতি বছরই সেখানে ছোট ছোট ভূমিকম্প হচ্ছে। তবে গত কয়েক বছরের মধ্যে ৬.৭ মাত্রার ভূমিকম্প এই প্রথম।
ড. মাকসুদ কামাল জানান, যেখানে ভূমিকম্প হয়েছে তার আশপাশে ভূমিকম্পের তীব্রতা ৭ মাত্রার কাছাকাছি হলেও বাংলাদেশে আমরা অনুভব করেছি ৪ মাত্রার কম্পন। আবার ঢাকায় নরম মাটির অঞ্চলগুলোতে কোথাও কোথাও ৫ মাত্রাও অনুভূত হয়েছে।
সম্প্রতি এক গবেষণায় দেখা গেছে, অনেকগুলো সক্রিয় ফাটল রেখা বা প্লেট বাউন্ডারি, যেগুলো ভূমিকম্প উৎপত্তি করে, বাংলাদেশ এবং এর আশেপাশের অঞ্চলে বর্তমানে সেগুলো সক্রিয় রয়েছে।
মাকসুদ কামাল বলেন, এসব ফাটল রেখা সক্রিয় এবং ভূ-অভ্যস্তরে ১০০ থেকে ৩০০ বছর ধরে শক্তি সঞ্চয় করছে। সেই শক্তি বেরিয়ে এলে আমাদের দেশে বড় ধরণের ভূমিকম্প হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। এভাবে ২০২২ সাল নাগাদ বড় একটি ভূমিকম্প হওয়ার সম্ভাবনা আছে বলে জানান তিনি।
প্রকৃতিকে নিয়ন্ত্রণ করার ক্ষমতা পুরোপুরি মানুষের না থাকলেও জনগণের সচেতনতা বৃদ্ধির মাধ্যমে ভূমিকম্পের ক্ষয়ক্ষতি কমানো যেতে পারে বলে মনে করেন এই বিশেষজ্ঞ।