একুশে আগস্ট আওয়ামী লীগের জনসভায় গ্রেনেড হামলা চালিয়ে বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে হত্যার চেষ্টায়
ব্যবহৃত গ্রেনেড ও গুলি ২০০৩ সালে এসেছিলো পাকিস্তান থেকে। পাকিস্তানের
কাশ্মিরভিত্তিক সংগঠন হিযবুল মুজাহিদীন ও তেহরিক ই জিহাদী ইসলামী-টিজেআই এর
দুই নেতার মাধ্যমে সেগুলো আনা হয়। জঙ্গিদের নামে বিভিন্ন সময়ে ইসলামাবাদ থেকে টাকাও পাঠানো হয়।
মঙ্গলবার আদালতে দেয়া সাক্ষ্যে এমন তথ্য জানান মামলাটির সর্বশেষ তদন্ত কর্মকর্তা সিআইডির বিশেষ পুলিশ সুপার আব্দুল কাহার আকন্দ।
এ মামলার সর্বশেষ সাক্ষী ও তদন্ত কর্মকর্তা সাক্ষ্য দেয়া শুরু করেন গত সপ্তাহের শুরুতে। মঙ্গলবার তৃতীয় দিনের মতো ঢাকার এক নম্বর দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালে সাক্ষ্য দেন তিনি। এদিন কথা বলেছেন গ্রেনেডের উৎস ও জড়িত ব্যক্তিদের বিষয়ে।
রাষ্ট্রপক্ষের প্রধান আইনজীবী সৈয়দ রেজাউর রহমান সাংবাদিকদের জানান, পাকিস্তান থেকে গ্রেনেড ও গুলি এসেছে একথা বলেছেন তিনি। হিযবুল মুজাহিদীন নেতা আব্দুল মাজেদ ও তেহরিক ই জিহাদী ইসলামী-টিজেআই এর নেতা মুজাফফর শাহের মাধ্যমে পাকিস্তান থেকে আইএসের সহযোগিতায় বাংলাদেশে এইসব অস্ত্রশস্ত্র এসেছে। পাকিস্তান থেকে জঙ্গি অর্থায়নের জন্য নির্দিষ্ট পরিমাণ টাকাও এসেছে।
গ্রেনেড হামলার পরিকল্পনায় মুফতি হান্নানসহ জঙ্গি নেতাদের হাওয়া ভবন কানেকশন বিষয়েও কথা বলেন তদন্ত কর্মকর্তা।
সৈয়দ রেজাউর রহমান আরো জানান, চারদলীয় জোট থেকে নির্বাচিত নেতা, কুমিল্লার মুরাদনগরের নির্বাচিত এমপি শাহ মোফাজ্জল হোসেন কায়কোবাদ এবং চট্টগ্রামের সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরী ও বিএনপি নেতাদের সহযোগিতায় বনানীর হাওয়া ভবনে জঙ্গিদের নিয়ে তারেক জিয়ার সঙ্গে ষড়যন্ত্রমূলক সভা করা হয়েছে। সেখানে তারেক জিয়া প্রশাসনিক সাহায্য সহযোগিতার আশ্বাস প্রদান করেছে।
মামলার শুনানিতে সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী লুৎফুজ্জামান বাবর, সাবেক উপমন্ত্রী আব্দুস সালাম পিন্টু, হরকাতুল জিহাদ নেতা মুফতি হান্নানসহ কারাগারে আটক আসামীদের আদালতে হাজির করা হয়।
আগামী ১৭ অক্টোবর সাক্ষ্যের বাকি অংশ আদালতে তুলে ধরবেন সিআইডির বিশেষ পুলিশ সুপার আব্দুল কাহার আকন্দ।