একুশে আগস্টের গ্রেনেড হামলা মামলার ১শ’৫৬তম সাক্ষী হিসেবে ওই সময় শেখ হাসিনার ব্যক্তিগত নিরাপত্তা বাহিনীর প্রধান ও বর্তমানে প্রধানমন্ত্রীর নিরাপত্তা উপদেষ্টা অবসরপ্রাপ্ত মেজর জেনারেল তারিক আহমেদ সিদ্দিক।
ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারের পাশে এক নম্বর দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালে দেওয়া সাক্ষ্যে তিনি বলেন, ২০০৪ সালের ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলায় আহত হয়ে তিনি দেশে ও বিদেশে চিকিৎসা নেন।
রাষ্ট্রপক্ষের প্রধান আইনজীবী সৈয়দ রেজাউর রহমান বলেন, তার শরীরে এখনো স্পিন্টার আছে আর্জেস গ্রেনেডের। তিনি দুই জায়গায় সিএমএইচ এবং দিল্লীতে এ্যাপোলো হাসপাতালে চিকিৎসা গ্রহণ করেছেন।
সাক্ষ্যে তারিক সিদ্দক বলেছেন, ঘটনায় আর্জেস গ্রেনেড ব্যবহার হয়েছে এবং এটা যুদ্ধক্ষেত্রে ব্যবহৃত হয়।
ওই সময়ের সরকারের নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়েও আদালতে কথা বলেন প্রধানমন্ত্রীর নিরাপত্তা উপদেষ্টা।
রাষ্ট্রপক্ষের প্রধান আইনজীবী সাক্ষীর বরাত দিয়ে আরোও বলেন, আদালতকে এই সাক্ষী জানান, ঘটনাস্থল অর্থাৎ ২৩ বঙ্গবন্ধু এভিনিউ’র চারপাশের সভাস্থলে বা ছাদে চারদলীয় জোট সরকারের পক্ষ থেকে কোনো নিরাপত্তারক্ষী, পুলিশ বা কিছু দেখতে পান নাই।
সাক্ষ্যের পর অবসরপ্রাপ্ত মেজর জেনারেল তারিক আহমেদ সিদ্দিককে জেরা করে আসামিপক্ষ। পরবর্তী সাক্ষ্যের জন্য ৩০ জুন ও পয়লা জুলাই তারিখ ঠিক করেছেন আদালত।
এ মামলার অন্যতম আসামি আলী আহসান মোহাম্মদ মুজাহিদ, লুৎফুজ্জামান বাবর, আব্দুস সালাম পিন্টু, মুফতি হান্নানসহ কারাগারে আটক আসামিদের আদালতে হাজির করা হয়।