পাবনা, চাঁদপুর, কুষ্টিয়া ও মাগুরার ২০৮ মুক্তিযোদ্ধাকে গেজেটভুক্ত করতে নির্দেশ দিয়েছে হাইকোর্ট।
এছাড়া এদের মধ্যে থাকা চাঁদপুর জেলার ১৪৯ জন মুক্তিযোদ্ধাকে ২০১৫ সালের জুলাই থেকে তাদের বন্ধ ভাতা চালুর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
এসংক্রান্ত ৮টি রিটে জারি করা রুল যথাযথ ঘোষণা করে বিচারপতি জুবায়ের রহমান চৌধুরী ও বিচারপতি আহমদ সোহেলের হাইকোর্ট বেঞ্চ আজ এ রায় দেয়।
আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল অমিত দাসগুপ্ত। আর রিট আবেদনের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী তৌফিক ইনাম টিপু।
আজকের রায়ের পর ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল অমিত দাসগুপ্ত বলেন: কয়েকজন রিট আবেদনকারী মুক্তিযোদ্ধা আগে ভাতা পেতেন। কিন্তু পরে তাদের ভাতা বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল। কারণ তাদের গেজেট হয় নাই। সে কারণে গেজেটভুক্তি ও ভাতা চেয়ে তারা রিট করেছিলেন। সে রিটের পরিপ্রেক্ষিতে হাইকোর্ট আজ রায় দিলেন। আদালত রায়ে বলেছেন, ২০৮ জনকে গেজেটভুক্ত করে তাদের ভাতা দেওয়ার জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে। এবং এ রায় পাওয়ার ৯০ দিনের মধ্যে আদেশ বাস্তবায়ন করতে হবে।
আইনজীবী অমিত দাসগুপ্ত জানান আদালত রায়ের পর্যবেক্ষণে বলেছেন, ‘মুক্তিযোদ্ধারা যদি অস্বচ্ছল থাকে সেটা রাষ্ট্রের জন্য লজ্জা। মুক্তিযোদ্ধা ভাতা মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য করুণা নয়, বরং এটা তাদের অধিকার।’
গেজেটভুক্ত না করার নিষ্ক্রিয়তা ও ব্যর্থতাকে চ্যালেঞ্জ করে ২০১৬ সালের চাঁদপুর (১৪৯), পাবনা (৪০), কুষ্টিয়া (৮) ও মাগুরার (১১) মোট ২০৮ জন মুক্তিযোদ্ধা এর আগে ৮টি রিট করেন। ২০০৪ সালে এই ২০৮ জনসহ আরও অনেক মুক্তিযোদ্ধার নামে গেজেট প্রকাশ করতে মুক্তিযোদ্ধা মন্ত্রণালয় ও জামুকাতে পাঠায় জেলা-উপজেলা যাচাই-বাছাই কমিটি। কিন্তু দীর্থ সময় পার হওয়ার পর মন্ত্রণালয় তাদের নাম গেজেটভুক্ত না করে গেজেট জারি করে।
এছাড়া ২০১৫ সালে চাঁদপুরের ১৪৯ জন মুক্তিযোদ্ধার মাসিক সম্মনী ও ভাতা কোনো কারণ না দেখিয়েই স্থগিত করে দেওয়া হয়।
এতে তাদের সাংবিধানিক অধিকার বঞ্চিত করা হয়েছে উল্লেখ করে ওই গেজেট চ্যালেঞ্জ করে পৃথক ৮টি রিট করেন মুক্তিযোদ্ধারা। সে রিটের পর জারি করা রুল যথাযথ ঘোষণা করে আজ রায় দিলেন হাইকোর্ট।