গ্রামীণফোন ২০১৯ সালের প্রথম প্রান্তিকে (জানুয়ারী-মার্চ) ৩৪৯০ কোটি টাকা রাজস্ব আয় করেছে। গত বছরের একই সময়ের তুলনায় আয় বৃদ্ধির হার ১১.৬ শতাংশ। আর প্রথম প্রান্তিকে গ্রামীণফোনের গ্রাহক সংখ্যা বেড়েছে ৯.৮ শতাংশ।
এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে প্রতিষ্ঠানটি।
প্রেস বিজ্ঞপ্তি মতে, ২০১৯ সালের জানুয়ারী-মার্চে ১৩ লাখ গ্রাহক গ্রামীণফোনের নেটওয়ার্কে যোগ দিয়েছে যা ২০১৮ সালের শেষ তিন মাসের (অক্টোবর-ডিসেম্বর) তুলনায় ১.৮ শতাংশ বেশি। প্রথম প্রান্তিকে প্রতিষ্ঠানটি ১১ লাখ ইন্টারনেট গ্রাহক অধিগ্রহণ করেছে । গ্রামীণফোনের মোট গ্রাহকের মধ্যে ৫১.৬ শতাংশ ইন্টারনেট ব্যবহার করছে।
গ্রামীণফোনের সিইও মাইকেল ফোলি বলেন, “নিয়ন্ত্রনমূলক কিছু চ্যালেন্জ থাকা সত্বেও প্রথম প্রান্তিকে আমরা বেশ ভালো ব্যবসায়িক সাফল্য অর্জন করেছি। বাজার ব্যবস্থায় আমাদের শক্তিশালী অবস্থান বিদ্যমান এবং নতুন নতুন উদ্ভাবন দিয়ে আমরা উল্লেখযোগ্য পরিমান ফোরজি গ্রাহক নিতে পেরেছি। শেয়ারহোল্ডার ও গ্রাহকদের স্বার্থ রক্ষায় আমাদের নিরলস চেষ্টা সবসময়ই অব্যাহত থাকবে।”
বিজ্ঞপ্তিতে আরো জানানো হয়েছে, প্রথম প্রান্তিকে ২৫.৬ শতাংশ মার্জিন নিয়ে গ্রামীণফোনের মোট লাভের পরিমান দাড়িয়েছে ৮৯০ কোটি টাকা। প্রতি শেয়ারের বিপরীতে ইপিএস দাড়িয়েছে ৬.৬১ টাকা। নেটওয়ার্ক সম্প্রসারন ও আধুনিকায়নে প্রথম প্রান্তিকে গ্রামীণফোন ৪২০০ কোটি টাকা বিনিয়োগ করেছে। গ্রামীণফোন প্রথম প্রান্তিকে কর, ভ্যাট, ফি, ফোরজির লাইসেন্স ও স্পেকট্রাম এ ফি বাবদ ২০৩০ কোটি টাকা সরকারী কোষাগারে জমা দিয়েছে যা একই সময়ে অর্জিত রাজস্বের ৫৮.১ শতাংশ।
২৩ এপিল ২০১৯ এ গ্রামীণফোনের ২২তম বার্ষিক সাধারণ সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। অন্যান্য বিষয়ের পাশাপাশি সভায় শেয়ারহোল্ডাররা ২০১৮ সালের জন্য ২৮০ শতাংশ ( ১২৫ শতাংশ অর্ন্তবতীকালীন নগদ লভ্যাংশসহ) লভ্যাংশ অনুমোদন দিয়েছে।