নিম্নমানের জন্য ২০টি ফার্মাসিউটিক্যালস কোম্পানিকে জীবন রক্ষাকারী ওষুধ উৎপাদন আগামী সাত দিনের মধ্যে বন্ধ করতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট।
একই সঙ্গে আরও ১৪টি কোম্পানির অ্যান্টিবায়োটিক ওষুধ উৎপাদন বন্ধের নির্দেশ দেয়া হয়েছে। এ কাজে পুলিশের আইজি ও র্যাবের ডিজিকে সহযোগিতা করতে বলা হয়েছে।
জনস্বার্থে এক রিট আবেদনের শুনানি শেষে বিচারপতি সৈয়দ মোহাম্মদ দস্তগীর হোসেন এবং বিচারপতি এ কে এম সাহিদুল হকের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিয়ে স্বাস্থ্যসচিব, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক, ওষুধ প্রশাসন অধিদপ্তরের পরিচালকসহ চারজনকে দুই সপ্তাহের মধ্যে আদালতে প্রতিবেদন দাখিল করতে বলা হয়েছে। আদেশের পাশাপাশির ৪ সপ্তাহের রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট।
জনস্বাস্থ্য বিবেচনায় মানসম্মত ওষুধ নিশ্চিতে ‘হিউম্যান রাইটস অ্যান্ড পিস ফর বাংলাদেশ’ বা এইচআরপিবি জনস্বার্থে রিটটি দায়ের করে।
রিটকারীদের পক্ষে শুনানিতে অংশ নিয়ে অ্যাডভোকেট মনজিল মোরসেদ জানান, সরকারের ৫ সদস্যের বিশেষজ্ঞ কমিটি ৮৪ টি ওষুধ প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠানে ৩ বার পরিদর্শনে গিয়ে এবছর ফেব্রুয়ারিতে একটি প্রতিবেদন দেন।
এর ভিত্তিতে নিম্নমানের ওষুধ প্রস্তুতকারী এক্সিম, এভার্ট, বিকল্প, ডলফিন, ড্রাগল্যান্ড, গ্লোব, জালফা, কাফমা, মেডিকো, ন্যাশনাল ড্রাগ, নর্থ বেঙ্গল, রেমো কেমিকেল, রীড, স্কাইল্যাব, স্পার্ক, স্টার, সুনিপুন, টুডে, ট্রপিকাল এবং ইউনিভার্সাল ফার্মাসিউটিক্যালের লাইসেন্স বাতিলের সুপারিশ করা হয়।
এছাড়াও আদ দ্বীন, আলকাদ, বেলসেন, বেঙ্গল ড্রাগ, ব্রিস্টল, ক্রিস্টাল, ইন্দো বাংলা, মিল্লাত, এমএসটি ফার্মা, অরবিট, ফার্মিক, ফনিক্স, রাশা এবং সেভ ফার্মাসিউটিকাল অ্যান্টিবায়োটিক ওষুধ উৎপাদনের লাইসেন্স বাতিলের আদেশ চাওয়া হয়।
গত ১৯ এপ্রিল এ নিয়ে গণমাধ্যমে সংবাদ প্রচারের পরও এসব প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থাই নেয়নি প্রশাসন। তাই মানুষের জীবন রক্ষার প্রয়োজনে আদালতের হস্তক্ষেপ চাওয়া হয়।