পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান ঘোষিত ১.৫ বিলিয়ন ডলার ভর্তুকি প্যাকেজে সরকার কীভাবে অর্থায়ন করবে, এ বিষয়ে ব্যখ্যা চেয়েছে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ)।
দেশটির অর্থমন্ত্রী শওকত তারিন জানান, সরকার ইতিমধ্যে আইএমএফকে তহবিল কোথা থেকে আসবে তার বিবরণ দিয়েছে। এ বিষয়ে কোন সমস্যা নেই।
ইমরান খান এমন সময়ে পেট্রোল, ডিজেল এবং বিদ্যুতের দাম কমানো প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন যখন রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের পরে অপরিশোধিত তেলের দাম বেড়েছে। প্যাকেজটি পাকিস্তানের তেল সংস্থাগুলিকেও রেখেছে। তবে তারা নিশ্চিত নয় যে কখন সরকারী তহবিল দেয়া হবে।
রয়টার্স জানায়, আইএমএফ ২০১৯ সালে পাকিস্তানের সাথে ৬ বিলিয়ন উদ্ধার প্যাকেজের সপ্তম পর্যালোচনা শুরু করেছে। দেশটির অর্থমন্ত্রী মঙ্গলবার ঋণদাতার সাথে একটি চূড়ান্ত বৈঠক করবেন।
বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলো ইমরান খানকে অপসারণের জন্য পার্লামেন্টে অনাস্থা প্রস্তাবের জন্য চাপ দেওয়ায় পাকিস্তানের রাজনৈতিক পরিস্থিতি উত্তাল হয়ে উঠছে। সমালোচনার মুখে পড়েছে ইমরান সরকার।
শুধু বিরোধীদের থেকে চাপ নয়, পাকিস্তানের সেনাপ্রধান জেনারেল কামার জাভেদ বাজওয়াও’র থেকেও চাপ আসছে। পাকিস্তানের মিডিয়া রিপোর্টে বলা হয়েছে, ইমরান খানকে ক্ষমতাচ্যুত করার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছিল।
সম্প্রতি ইমরান খানের দল থেকে যারা সরে এসেছেন তাদের কারণ দর্শানোর নোটিশ জারি করা হয়েছে।