দীর্ঘ ১২ বছর পর আবারও পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হতে যাচ্ছে নতুন একটি ব্যাংক। চতুর্থ প্রজন্মের এনআরবি কমার্শিয়াল (এনআরবিসি) ব্যাংক প্রাথমিক গণপ্রস্তাবের (আইপিও) মাধ্যমে পুঁজিবাজার থেকে টাকা তোলার জন্য প্রস্তুত হচ্ছে।
পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি) ব্যাংকটির আইপিও’র আবেদনে অনুমোদন দিয়েছে।
বুধবার বিএসইসির ৭৪৯তম কমিশন সভায় এই অনুমোদন দেয়া হয়।
এর ফলে প্রায় এক যুগ পর কোনো ব্যাংকের আইপিও আসছে বাজারে। এর আগে সর্বশেষ ২০০৮ সালে ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংক, ব্যাংক খাতের কোম্পানি হিসেবে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হয়েছিল।
এনআরবিসি আইপিওর মাধ্যমে মোট ১২ কোটি শেয়ার ছেড়ে পুঁজিবাজারে থেকে ১২০ কোটি টাকা উত্তোলন করবে। ব্যাংকটি ফিক্সড প্রাইস পদ্ধতির আইপিও’র মাধ্যমে অভিহিত মূল্য তথা ১০ টাকা মূল্যে ১২ কোটি শেয়ার ইস্যু করবে।
উত্তোলিত অর্থের মধ্য থেকে সরকারি সিকিউরিটিতে ১১০ কোটি টাকা এবং পুঁজিবাজারের সেকেন্ডারি মার্কেটে ৬ কোটি টাকা বিনিয়োগ করা হবে। আর আইপিওর প্রক্রিয়ার জন্য ব্যয় হবে ৩ কোটি ৯০ লাখ টাকা।
গত ৫ বছরের ভারিত গড় হিসাবে ব্যাংকটির শেয়ার প্রতি আয় বা ইপিএস ১ টাকা ৫৫ পয়সা।
চলতি বছরের ৩০ জুন ব্যাংকটির শেয়ার প্রতি নিট সম্পদ মূল্য (এনএভি) ছিল ১৩ টাকা ৮৬ পয়সা (সম্পদ পুনঃমূল্যায়ন ব্যতীত)।
ব্যাংকটির ইস্যু ম্যানেজারের দায়িত্ব পালন করছে এশিয়ান টাইগার ক্যাপিটাল পার্টনারস ইনভেস্টমেন্ট লিমিটেড ও এএফসি ক্যাপিটাল লিমিটেড।
এনআরবিসি ব্যাংক ২০১৩ সালের ২৪ ফেব্রুয়ারিতে যৌথ মূলধনী কোম্পানি ও ফার্মগুলোর নিবন্ধক পরিদপ্তর-আরজেএসসি’র ব্যাংক কোম্পানি হিসেবে নিবন্ধন পায়।
ব্যাংকগুলোর ক্ষেত্রে বাণিজ্যিক কার্যক্রম শুরুর ৩ বছরের মধ্যে পুঁজিবাজারে আসার বাধ্যবাধকতা রয়েছে।