রবি-এয়ারটেল এক হওয়ার পর ২০১৫ সালের তুলনায় ২০১৬ সালে গ্রাহক সাড়ে ১৯ শতাংশ বেড়ে ৩ কোটি ৩৮ লাখে দাঁড়িয়েছে। ২০১৬ সালে তারা রাষ্ট্রীয় কোষাগারে ২১শ কোটি টাকা দিয়েছে রবি যা রবি’র মোট রাজস্বের ৪০ শতাংশ। মোবাইল ফোন অপারেটর রবি আজিয়াটা লিমিটেডের গত বছরের চতুর্থ প্রান্তিকে (অক্টোবর-ডিসেম্বর) ইন্টারনেট থেকে প্রাপ্ত রাজস্বও বেড়েছে।
বৃহস্পতিবার এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এয়ারটেলের সঙ্গে একীভূত হওয়ার পরে নিজেদের আর্থিক মুনাফা এবং গ্রাহক সংখ্যা বৃদ্ধির চিত্র তুলে ধরেছে রবি আজিয়াটা লিমিটেড।
রবি’র নির্বাহী প্রধান মাহতাব উদ্দিন আহমেদ বলেন: ২০১৬ সালের চতুর্থ প্রান্তিকে এয়ারটেল’র সাথে একীভূতকরণ প্রক্রিয়ার সর্বশেষ ধাপ শেষ করেছি আমরা। একীভূতকরণের ফলে গ্রাহকরা লাভবান হওয়ার পাশাপাশি পুরো টেলিযোগাযোগ শিল্পই উপকৃত হবে। এখন আমরা গ্রাহকদের সর্বোচ্চ মানসম্পন্ন সেবা প্রদানের জন্য দেশের ১ নম্বর নেটওয়ার্ক তৈরির লক্ষ্যে কাজ করে যাচ্ছি।
‘২০১৬ সালের চতুর্থ প্রান্তিকে আমরা বরাবরের মতো নানা উদ্ভাবনী ও সাশ্রয়ী পণ্য বাজারে এনেছি। একীভূতকরণের পর ‘মার্জার বোনানজা অফার’ চালু করেছে রবি; যার আওতায় ১জিবি ইন্টারনেট, দিন-রাত ২৪ ঘন্টা ৫ পয়সা/সেকেন্ড কল রেট উপভোগ এবং একটি কিনলে আরেকটি সিম বিনামূল্যে অফার পেয়েছেন গ্রাহকরা। এছাড়া এয়ারটেল ব্র্যান্ডের গ্রাহকদের জন্য এয়ারটেল-ইয়ন্ডার মিউজিক অ্যাপ চালু করেছে রবি।’
রবি আজিয়াটা লিমিটেড মালয়েশিয়ার আজিয়াটা গ্রুপ বারহাদ, ভারতের ভারতী এয়ারটেল লিমিটেড এবং জাপানের এনটিটি ডকোমো ইনকর্পোরেশনের একটি যৌথ উদ্যোগ। ভারতী’র বাংলাদেশে পরিচালিত কোম্পানি ‘এয়ারটেল বাংলাদেশ লিমিটেড’র সাথে এক হয়ে ২০১৬ সালের নভেম্বর থেকে একীভূত কোম্পানি হিসেবে যাত্রা শুরু করেছে ‘রবি আজিয়াটা লিমিটেড’ যার মধ্যে আজিয়াটার শেয়ার সিংহভাগ ৬৮ দশমিক ৭ শতাংশ, ভারতী এয়ারটেলের ২৫ শতাংশ ও এনটিটি ডকোমোর ৬ দশমিক ৩ শতাংশ মালিকানা রয়েছে।