১৯৭১ এর মহান মুক্তিযুদ্ধে বাংলাদেশ বিমান বাহিনীর আক্রমন, পাকিস্তানী বাহিনীর রশদ ও সৈন্য সরবরাহ বন্ধ করে দিয়েছিল। বিমান বাহিনীর প্রথম আক্রমন ছিল ৩ ডিসেম্বর নারায়নগঞ্জের গোদনাইল তেলের ডিপো এবং চট্টগ্রামের তেলের ডিপোতে। এছাড়া ঢাকার কাছে ছত্রীসেনা অবতরনেও বিশেষ ভূমিকা রেখেছিল বিমান বাহিনী।
মুক্তিযুদ্ধ চলাকালীন ৭১এর সেপ্টেম্বরের শেষ দিকে বিমান বাহিনী গঠনের সিদ্ধান্ত হয়। পুরনো একটি ডাকোডা ও একটি অটার প্লেন এবং এলিয়ড হেলিকপ্টার নিয়ে চলতে থাকে বাংলাদেশী বৈমানিকদের প্রশিক্ষন।
এয়ার ভাইস মার্শল (অবঃ)সুলতান মাহমুদ বীর উত্তম বলেন, ডিসেম্বরের ৩ তারিখ আমাদের জন্যে একটা ঐতিহাসিক দিন। এই দিন বিমান বাহিনীর সসকলের গর্বিত হওয়ার দিন। বাংলাদেশ বিমান বাহিনী প্রথম আকাশ যুদ্ধে আক্রমণ করে।পরেই মৈত্রী বাহিনীর বিমান আমাদের পেছনে আসে।সিলেট থেকে শুরু করে চট্টগ্রাম পর্যন্ত সব জায়গায় আমরা আক্রমণ শুরু করলাম।
৩ ডিসেম্বর ১৯৭১ প্রথম অভিযান। ভারতের কৈলশহর বিমানঘাঁটি থেকে ফ্লাইট লেফটেন্যান্ট শামসুল আলম ও ক্যাপ্টেন আকরামের নেতৃত্বে একটি অর্টার প্লেন থেকে রকেট ছুড়ে চট্টগ্রাম তেল ডিপো ধ্বংস করে দেয়া হয়। নারায়নগঞ্জের গোদনাইল তেলের ডিপোতে সফল আঘাত হানে স্কোয়াড্রন লিডার সুলতান মাহমুদ ও ফ্লাইট লেফটেন্যান্ট বদরুল আলমের নেতৃত্বে একটি এলিয়ড হেলিকপ্টার।
প্রথম সফল অভিযানের পর আরো বেশ কয়েকটি অভিযান চালায় বাংলাদেশ বিমান বাহিনী। বাংলাদেশ ভূখন্ডে পাকিস্তানী বাহিনীর উড্ডয়ন ক্ষমতা শেষ হয়ে যায় অতি দ্রুত।