চ্যানেল আই অনলাইন
হৃদয়ে বাংলাদেশ প্রবাসেও বাংলাদেশ
Channelionline.nagad-15.03.24

১৯৫ পাক সেনা যুদ্ধাপরাধীর বিচার প্রক্রিয়ার কাজ শুরু

পাকিস্তানী ১৯৫জন সেনা যুদ্ধাপরাধীর বিচার প্রক্রিয়ার কাজ পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ইতিমধ্যে শুরু করেছে বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল। সিমলা চুক্তির অাওতায় তাদের বিচারের মুখোমুখি করা হবে বলে তিনি জানান।

বৃহস্পতিবার সকালে আশুলিয়ার শ্রীপুরে শিল্প পুলিশ-১ এর প্রশিক্ষণ শিবিরের সমাপনী অনুষ্ঠানে এসে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি একথা বলেন। এছাড়া বর্তমান সরকার কোনো অপরাধীকেই প্রশ্রয় দেবে না বলে তিনি মন্তব্য করেন।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল ছাড়া আরও উপস্থিত ছিলেন সিআইডি প্রধান হেমায়েত উদ্দিন, ঢাকা রেঞ্জের ডিআইজি নূরুজ্জামান ও শিল্প পুলিশ-১ এর পরিচালক মোস্তাফিজুর রহমানসহ পুলিশের উর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।

এর আগে মন্ত্রী শিল্প পুলিশের ৩’শ জন নবীন সদস্যের এক মাস ব্যাপী প্রশিক্ষণ শিবিরের সমাপণীর চৌকস প্যারেড পরিদর্শন ও সালাম গ্রহণ করেন। অনুষ্ঠান শেষে শিল্প পুলিশের অংশগ্রহণে এক দৃষ্টিনন্দন কারাতের ডিসপ্লে প্রদর্শিত হয়।

এর আগে গত ১৪ ডিসেম্বর ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির (ডিআরইউ) সাগর-রুনি মিলনায়তনে ‘স্বজনদের স্মৃতিতে শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস’ শীর্ষক আলোচনা সিমলা চুক্তি আওতায় ১৯৫ জন পাকিস্তানি যুদ্ধাপরাধীর বিচার করতে দেশটির প্রতি আহ্বান জানান বিমানমন্ত্রী রাশেদ খান মেনন।

পাকিস্তান তাদের যুদ্ধাপরাধীদের বিচার না করলে এদের বিচারে সরকারকে আন্তার্জাতিক আদালতে যাওয়ারও পরামর্শ দিয়েছিলেন তিনি।

৭১ সালের মহান মুক্তিযুদ্ধের পরে বাংলাদেশ, পাকিস্তান ও ভারতের মধ্যে সিমলায় যে চুক্তি হয়েছিল তার মূল কথা ছিলো স্ব স্ব দেশ চিহ্নিত যুদ্ধাপরাধীদের বিচার করবে। সে আলোকে বাংলাদেশ সরকার ১৯৭৩ সালে আন্তর্জাতিক যুদ্ধাপরাধ ট্রাইব্যুনাল আইন প্রণয়ন ও আদালত গঠন করে। চুক্তি অনুসারে মুক্তিযুদ্ধে পরাজিত ৯০ হাজার পাকিস্তানি সৈন্যের মধ্যে চিহ্নিত ১৯৫ জন যুদ্ধাপরাধীর বিচারের দায়িত্ব পাকিস্তান সরকারের উপর অর্পিত হলেও তারা আজও তা না করে শিমলা চুক্তিকে ভঙ্গ করেছে বলে অভিযোগ রয়েছে।