শততম টেস্টে জয় পেতে ১৯১ রান করতে হবে বাংলাদেশকে। রোববার শ্রীলঙ্কা ৩১৯ রানে অলআউট হলে বাংলাদেশের সামনে এই টার্গেট দাঁড়ায়। এদিন ১৩.২ ওভারের ভেতর দুই উইকেট হারায় লঙ্কানরা। একটি নিয়েছেন সাকিব। অন্যটি রানআউট।
চতুর্থদিন ৮ উইকেট হারিয়ে ১৩৯ রানের লিড নিয়েছিল শ্রীলঙ্কা। উইকেটে ছিলেন সেট ব্যাটসম্যান দিলরুয়ান পেরেরা। যিনি ১২৬টি বল খেলে ২৬ রান করেন। সুরঙ্গা লাকমাল ১৭ বলে ১৬ রানে ছিলেন। সেখান থেকে পেরেরা পঞ্চমদিন ৫০ করে ফিরেছেন। লাকমল করেন ৪২।
টেস্টের ইতিহাসে নিজেদের শততম ম্যাচে জয়ের নজির আছে তিন দেশের- অস্ট্রেলিয়া, পাকিস্তান এবং ওয়েস্ট ইন্ডিজ। চতুর্থ দেশ হিসেবে বিরল এই কীর্তি গড়ার সুযোগ এখন বাংলাদেশের সামনে।
শনিবার দিনের শুরুতে মিরাজ সাফল্য এনে দিয়েছিলেন। থারাঙ্গাকে বোল্ড করেন তরুণ স্পিনার। এই উইকেটের সঙ্গে তার টেস্ট ক্যারিয়ারের প্রথম উইকেটের অনেক মিল আছে। চট্টগ্রাম টেস্টে বেন ডাকেটকে যেভাবে বোল্ড করেছিলেন ঠিক সেভাবে এদিন থারাঙ্গাকে ভড়কে দেন। বল মিডল লেগে পিচ করে সামনে যায়। ব্যাটসম্যান অ্যাঙ্গেল মেপে খেলতে যেয়ে বিপাকে। চোখের পলকে নেই অফস্টাম্প!
দ্বিতীয় উইকেট জুটি বাংলাদেশকে অস্বস্তিতে ফেলেছিল। কুশল মেন্ডিস আর দিমুথ করুনারত্নের ৮৬ রানের সেই জুটি ভাঙেন ‘বিস্ময় বালক’ মোস্তাফিজ। রিভিউতে মেন্ডিসকে ফিরতে হয় ৩৬ রানে। বল হালকা ব্যাটে লেগেছিল। শুরুতে আবেদন করেননি মুশফিকুর রহিম। আবেদন করলেন বোলার মোস্তাফিজকে দেখে। পরে রিভিউ নিয়ে উতরেও যান! এরপর মোস্তাফিজ দিনেশ চান্দিমালকে ফিরিয়ে লঙ্কানদের ব্যাকফুটে ঠেলে দেন। প্রথম ইনিংসে সেঞ্চুরি করা চান্দিমাল এবার করতে পারেন ৫ রান। ফিজ পরে আরো দুটি উইকেট নিয়েছেন।
দ্বিতীয় উইকেট জুটির পর সেভাবে আর প্রভাব বিস্তার করতে পারেনি লঙ্কানদের কোন জুটি। শেষ পর্যন্ত তারা ২৬৮ রানে দিন শেষ করে।
সাকিব ৭৪ রানে ৪ উইকেট নিয়েছেন। ৭৮ রান খরচায় ৩ উইকেট মোস্তাফিজের। একটি করে নিয়েছেন মিরাজ এবং তাইজুল। আরেকটি রান আউট।