স্ত্রীর বয়স ১৮ বছরের কম হলে তার সঙ্গে সহবাস করলে তা ধর্ষণ হিসেবে গণ্য করা হবে বলে জানিয়েছে ভারতের সুপ্রিমকোর্ট। এই অপরাধের কারণে স্বামীকে শাস্তি পেতে হবে বলেও রায় দিয়েছেন আদালত।
বুধবার ভারতের ফৌজদারি দণ্ডবিধিতে ধর্ষণের সাজার ক্ষেত্রে একটি ধারার বৈধতা নিয়ে এক মামলায় সুপ্রিমকোর্ট এই রায় দেয়।
ওই রায়ে বলা হয়, যদি কোন স্বামী তার ১৮ বছর বয়সের কম বয়সী স্ত্রীর সঙ্গে সহবাস করে তাহলে তা অপরাধ বলে গণ্য করা হবে। এর আগে স্ত্রীর বয়স ১৫ বছরের বেশি হলে স্বামীর ক্ষেত্রে আইনে ছাড় দেওয়া হয়েছিল।
আইনে ছাড় দেওয়ার ওই বিষয়টি চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিমকোর্টে পিটিশন করে ভারতের মানবাধিকার সংগঠন ইনডিপেনডেন্ট থট। তাদের আবেদনের চূড়ান্ত শুনানি শেষে সুপ্রিম কোর্ট রায়ে বলা হয়: ধর্ষণের আইনে এই ছাড় বৈষম্যমূলক, মেয়ে শিশুদের জন্য শারীরিকভাবে মর্যাদাহানিকর এবং অসাংবিধানিক। এ ধরনের ক্ষেত্রে অপ্রাপ্তবয়স্ক ওই স্ত্রী এক বছরের মধ্যে আদালতে অভিযোগ জানাতে পারবে।
সরকার এ মামলার শুনানিতে যুক্তি দিয়েছিল, বিয়ের বয়স নিয়ে আইন থাকলেও ভারতে বাল্যবিয়ে একটি বাস্তবতা এবং যাদের বিয়ে হয়ে গেছে, সেটা রক্ষা করা রাষ্ট্রের দায়িত্ব। তবে আদালত সরকারের ওই যুক্তি প্রত্যাখ্যান করে বাল্যবিয়ে বন্ধে আরও উদ্যোগী হওয়ার তাগিদ দিয়েছে।
ভারতের পেনাল কোড অনুসারে ১৮ বছর বয়সের কোন মেয়ের সঙ্গে তার সম্মতিতে অথবা অসম্মতিতে সহবাস করলে তা ধর্ষণ বা অপরাধ বলে বিবেচনা করা হবে। এমনকি যদি সে তার বিবাহিত স্ত্রীও হয়।
তবে সুপ্রিম কোর্ট স্পষ্ট করে বলেছে, তাদের এই রায় কোনভাবেই বৈবাহিক ধর্ষণের (স্ত্রীর সঙ্গে বলপূর্বক যৌনমিলন) সঙ্গে সম্পর্কিত নয়।