গোয়েন্দা পুলিশের নজরদারীতে থাকা অবস্থায়ই নিখোঁজ ছাত্রলীগ নেতা তপুকে ১৮ দিনেও খুঁজে পাওয়া যায়নি। পরিবার এ নিয়ে মামলা করলেও তদন্তে কোনও কুলকিনারা করতে পারেনি পুলিশ। নিখোঁজ তপু এক অবসরপ্রাপ্ত এডিশনাল এসপি হত্যা মামলার আসামি।
বাড্ডায় যুবলীগের মোটর সাইকেল মিছিলে পুলিশের সামনেই ছাত্রলীগের হামলা ও গুলিবর্ষনের ঘটনায় আলোচনায় আসে রামপুরা খানা ছাত্রলীগ সভাপতি মোয়াজ্জেম হোসেন তপু। গোয়েন্দারা অবশ্য আগে থেকেই নজরদারী রেখেছিলো তপুকে।
অবসরপ্রাপ্ত অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ফজলূল করিম হত্যা মামলার তদন্তে ডিবি জানতে পারে হত্যাকান্ডের পরিকল্পনা ও বাস্তবায়নে সরাসরি জড়িত ছিলো ওই ছাত্রলীগ নেতা।
আদালতে দেয়া আসামীদের জবানবন্দীতেও আসে তপুর নাম। শুরু হয় গোয়েন্দা নজরদারী।এরই মধ্যে চাঁদপুর থেকে ঢাকা ফিরে নিখোঁজ হয় তপু।
তপুর বড় ভাই ডা. মঈনুল হোসেন বলেন, তিনজন লোক ডিবি পরিচয়ে তপুকে গ্রেফতার করে নিয়ে যায়।তাদের হাতে হ্যান্ডকাফও ছিল।পরে সাদা পোশাক পরিহিতরা তাকে গাড়ীতে তুলে নেয়।
ভাটারা এলাকা থেকে নিখোঁজ হওয়ার কথা জানিয়ে মামলা করে তপু পরিবার।
গুলশান থানার ডিসি অপরাধ বিভাগ মোস্তাক আহমেদ খান বলেন, আমরা তদন্ত শাখার কর্মকর্তাদের তাকে উদ্ধারের জন্য নিয়োজিত রেখেছি।পাশাপাশি বিভিন্ন প্রযুক্তি ব্যবহার করেও তাকে উদ্ধারের জন্য আমরা সর্বাত্মক চেষ্টা করছি।
তপুকে কেউ আটক করেছে নাকি পুলিশ কর্মকর্তা হত্যা মামলায় গ্রেফতার এড়াতে নিজেই আত্মগোপনে আছে কিছুই বলতে পারছে না আইন শৃঙ্খলা বাহিনী। তপুর বিভিন্ন অপরাধমূলক কর্মকান্ডের বিরুদ্ধে কিছুদিন আগে এলাকাবাসী গণস্বাক্ষরও সংগ্রহ করেছিলো।
তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার জন্য র্যাব সদর দপ্তরে আবেদনপত্রের সঙ্গে সংযুক্ত আছে ওই গণসাক্ষরের কপি। সেটি আছে ডিএমপি কমিশনারের টেবিলেও। তপুর বিরুদ্ধে হত্যা চেষ্টাসহ কয়েকটি মামলা রয়েছে রামপুরা থানায়।