সরকারি সিদ্ধান্তে বন্ধের ১৭ দিনের মাথায় আবারও গ্রাহক সেবার জন্য চালু করা হয়েছে দেশের প্রথম মোবাইল ফোন অপারেটর প্যাসিফিক বাংলাদেশ টেলিকম লিমিটেড বা সিটিসেলের কার্যক্রম।
রবিবার সন্ধ্যায় বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রক সংস্থার (বিটিআরসি) একটি দল মহাখালীতে সিটিসেলের প্রধান কার্যালয়ে গিয়ে সিটিসেলের অপারেশন আবারও চালু করে দেয়।
এর মাধ্যমে আবারও প্রাণ পেলো বন্ধ হয়ে যাওয়া মোবাইলফোন অপারেটর-সিটিসেল।
এর আগে, আজ সন্ধ্যায় সিটিসেলের তরঙ্গ বরাদ্দ আবারও খুলে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয় বিটিআরসি। এ ব্যাপারে দুপুরে বিটিআরসির সভায় সিদ্ধান্ত হয়।
আদালতের পাঠানো লিখিত চিঠি রোববার দুপুরে হাতে পাওয়ার পরে বিশেষ সভায় বসে সিটিসেল বিষয়ে গঠিত বিটিআরসির বিশেষ কমিশন। সেখানেই এই সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।
গত ৩ নভেম্বর সিটিসেলের তরঙ্গ বরাদ্দ খুলে দেওয়ার আদেশ দেন আদালত। পাশাপাশি ১৯ নভেম্বরের মধ্যে ১০০ কোটি টাকা পরিশোধ করার শর্তও দেয়া হয় সিটিসেলকে।
আদালতের আদেশের পরও তরঙ্গ বরাদ্দ খুলে না দেওয়ার বিষয়টি আদালতের কাছে জানতে চান সিটিসেলের পক্ষের আইনজীবী। এরপরই বিষয়টি বিটিআরসিকে ব্যাখ্যা করতে বলেন আদালত।
৬ নভেম্বর পর্যন্ত তরঙ্গ বরাদ্দ কেন সেটা খুলে দেওয়া হলো না তা বিটিআরসির কাছে জানতে চান আদালত।
রোববার সকালে বিচারপতি এসকে সিনহার নেতৃত্বে আপিল বিভাগের একটি বেঞ্চ এই ব্যাখ্যা চান। সিটিসেলের তরঙ্গ বরাদ্দ এখনো না দেয়ার বিষয়টি দুপুরের মধ্যে বিটিআরসিকে জানাতে বলেন আপিল বিভাগ।
পাওনা টাকা না দেওয়ায় গত ২০ অক্টোবর সিটিসেলের তরঙ্গ বন্ধ করে দেয় বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষ (বিটিআরসি)।
বিটিআরসির এ সিদ্ধান্ত স্থগিত চেয়ে গত ২৪ অক্টোবর আবেদন করে সিটিসেল। এ আবেদনের পর ২৫ অক্টোবর অবকাশকালীন চেম্বার বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকীর আদালত শুনানির জন্য পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চে পাঠিয়ে দেন।