ইংল্যান্ড-ওয়েস্ট ইন্ডিজ ওয়ানডে সিরিজের চতুর্থ ম্যাচের শিরোনাম হতে পারতো ক্যারিবীয়দের লু্ইসময় এক জয়। সেটা হতে দিল না বৃষ্টি এবং ইংলিশদের চড়াও হওয়া ব্যাটিং! তার আগে অবশ্য এভিন লুইসের অতি-চড়াও হওয়া ১৭৬ রানের ইনিংস দেখেছে ক্রিকেট বিশ্ব। অসাধারণ ইনিংসটা শেষ পর্যন্ত পরাজিত দলেই থেকেছে। বৃষ্টি আইনে ৬ রানে ম্যাচ জিতে সিরিজ জয়ের উৎসব করেছে স্বাগতিকরা।
ওভালে শুরুতে ব্যাট করে ৫ উইকেটে ৩৬৫ রানের পাহাড় গড়ে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। জবাবে ৩৫.১ ওভারে ইংল্যান্ড ২৫৮ রান তুললে বৃষ্টি বাগড়া দেয়। পরে আর খেলাই হয়নি। ম্যাচ ওই অবস্থায় শেষ হলে ৬ রানে এগিয়ে থাকার ফল পায় ইংলিশরা।
ক্রিস গেইল ২ রানে ফিরেছেন। তাতে দমে যাননি লুইস। ক্যারিবীয়দের বড় সংগ্রহের প্রধান নায়ক হয়েছেন। এগোচ্ছিলেন ডাবল সেঞ্চুরির দিকেই। দ্বিশতক যখন শুধু সময়ের ব্যাপার মনে হচ্ছিল, তখনই পায়ের চোটে মাঠ ছাড়তে হয় স্ট্রেচারে করে। জ্যাক বলের ইয়র্কার লেগসাইডে খেলতে গেলে পায়ের গোড়ালিতে এসে লাগে লুইসের। ইনিংসের তখনও ২২ বল বাকি!
ওয়ানডে ইতিহাসের সপ্তম ডাবল সেঞ্চুরিটি আর হয়নি। স্ট্রেচারে মাঠ ছাড়া লুইসের নামের পাশে লেখা আহত অবসর, ১৭ চার ও ৭ ছয়ে ১৩০ বলের ইনিংস তার।
লুইসের সঙ্গে এদিন জেসন মোহাম্মেদ ও অধিনায়ক জেসন হোল্ডারও দারুণ দুটি ইনিংস খেলেছেন। হোল্ডার ৪টি করে চার-ছয়ে ৬২ বলে ৭৭, আর মোহাম্মেদ ৪ চারে ৪৬ রানের ইনিংস খেলেছেন। চতুর্থ উইকেটে লুইসের সঙ্গে ১১৭ রানের জুটি মোহাম্মেদের। হোল্ডারের সঙ্গে সেখানেকে ১৬৮ রান যোগ করেন লুইস।
বিশাল লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে ইংল্যান্ডের শুরুটা হয়েছে দারুণ। জেসন রয় ও জনি বেয়ারস্টো উদ্বোধনীতে ১২৬ রান যোগ করেন মাত্র ১৭.৪ ওভারে। রয় ১১ চার ও ২ ছয়ে ৬৬ বলে ৮৪ রানে ফেরেন। বেয়ারস্টো ৩৯ রানে।
পরে জো রুট ১৪, ইয়ন মরগ্যান ১৯ ও স্যাম বিলিংস ২ রানে দ্রুত ফিরলেও হাল ছাড়েননি মঈন আলি এবং জস বাটলর। বাটলার ৫ চারে ৩৫ বলে ৪৩ এবং মঈন ৬ চার ও ২ ছয়ে ২৫ বলে ৪৮ রানে অপরাজিত থাকেন। তাদের অবিচ্ছিন্ন ৭৭ রানের ঝোড়ো জুটিই ম্যাচ টেনে দিয়েছে ইংলিশদের দিকে।
পাঁচ ম্যাচ সিরিজের একটি বৃষ্টিতে ভেসে গেছে। তিনটি জিতল ইংল্যান্ড। হোয়াইটওয়াশের লজ্জা এড়াতে এখনো একটি ম্যাচ হাতে আছে ওয়েস্ট ইন্ডিজের।