বিতর্কিত মন্তব্যের জন্য পরিচিত ফিলিপাইনের প্রেসিডেন্ট রদ্রিগো দুতার্তে জানিয়েছেন, মাত্র ১৬ বছর বয়সে তিনি খুন করেছেন। চাহনি পছন্দ না হওয়ায় তাকে ছুরি মেরে হত্যা করেছিলেন তিনি।
ভিয়েতনামের ডা নাং নগরীতে একদল প্রবাসী ফিলিপিনো নাগরিকের সঙ্গে কথা বলার সময় এমন তথ্য জানান তিনি। অ্যাপেক শীর্ষ সম্মেলনে যোগ দিতে সেখানে গেছেন দুতার্তে।
প্রেসিডেন্ট দুতার্তের একজন মুখপাত্র পরে অবশ্য দাবিকে নিছক রসিকতা বলে উড়িয়ে দিয়ে বলেন, প্রেসিডেন্ট আসলে মজা করছিলেন।
দুতার্তে এর আগেও একবার দাবি করেছিলেন, ডাভাও নগরীর মেয়র থাকাকালীন তিনি কয়েকজন সন্দেহভাজন অপরাধীকে হত্যা করেন।
প্রেসিডেন্ট এখন তার দেশে মাদক পাচারকারী এবং মাদক ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে কঠোর অভিযান চালাচ্ছেন। সেখানে শত শত মানুষকে এই অভিযানে বিনা বিচারে হত্যা করা হচ্ছে।
বিচার বহির্ভূত হত্যাকাণ্ডকে উৎসাহিত করে থাকেন তিনি। এর আগে একবার মন্তব্য করেছিলেন, ফিলিপাইনের প্রায় ৩০ লাখ মাদকাসক্তকে তিনি ‘জবাই’ করতে খুশি মনে রাজি।
২০১৫ সালেও ফিলিপাইনের একটি ম্যাগাজিনে দেয়া সাক্ষাৎকারে দুতার্তে বলেছিলেন যখন তার বয়স ১৭ বছর, তিনি সম্ভবত কাউকে ছুরি মেরে হত্যা করেন। এবার তিনি সেই ঘটনার কথাই উল্লেখ করছিলেন কিনা তা স্পষ্ট নয়।
আরেকবার তিনি দাবি করেন, হেলিকপ্টার থেকে তিনি দুর্নীতিবাজ কর্মকর্তাদের নীচে ছুড়ে ফেলেন। যদি কেউ দুর্নীতিতে জড়ায়, আবারও তিনি একই কাজ করবেন বলে হুঁশিয়ারি দেন।
প্রেসিডেন্ট দুতার্তে ক্ষমতায় আসার পর ফিলিপাইনের পুলিশ চার হাজার মানুষকে হত্যা করে। এর মধ্যে দুহাজার মানুষকেই হত্যা করা হয় মাদক বিরোধী অভিযানে।
গত সেপ্টেম্বরে ফিলিপাইনের মানবাধিকার কমিশন এসব হত্যার ঘটনা তদন্তে তিন কোটি ৪০ লাখ ডলার চেয়েছিল সরকারের কাছে। সরকার এ জন্যে তাদের বরাদ্দ করে মাত্র ১৫ ডলার।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের এশিয়া সফরের শেষ ধাপে ফিলিপাইনে যাওয়ার কথা রয়েছে। ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে দুতার্তের ভালো সম্পর্ক থাকলেও পূর্ববর্তী প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামাকে তিনি মোটেই দেখতে পারতেন না।
প্রেসিডেন্ট দুতার্তে একবার বারাক ওবামাকে “বেশ্যার ছেলে” বলে গালি দিয়েছিলেন। এর পর প্রেসিডেন্ট ওবামা তার সঙ্গে এক পূর্ব নির্ধারিত বৈঠক বাতিল করে দেন।