৯ মাস মুক্তিযুদ্ধের পর বাংলাদেশের বিজয় অর্জিত হয় ১৬ ডিসেম্বর। এ মাসেই রুখে দাঁড়ায় গোটা বাংলাদেশ। বিজয়ের মাসে চ্যানেল আইয়ের সংবাদ আয়োজনে থাকছে পাকিস্তানি হানাদারদের বিরুদ্ধে বিভিন্ন রণাঙ্গনে বীর বাঙালির যুদ্ধজয়ের খবর। এদিন ঢাকায় অবরুদ্ধ হয়ে পড়ে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী। মুক্ত হয় চাঁপাইনবাবগঞ্জ।
১৪ ডিসেম্বর ১৯৭১ মঙ্গলবার। প্রায় সারা বাংলাই মুক্তিযোদ্ধাদের দখলে। ঢাকায় অবরুদ্ধ হয়ে পড়ে পাক হানাদাররা। পূর্ব পাকিস্তান গর্ভনর হা্উজে মন্ত্রীপরিষদের শেষ সভার সময়, সেখানে মেঘালয়ের শিলিং থেকে রকেট হামলা চালায় ৬টি মিগ টুয়েন্টি ওয়ান বিমান।
বাংলায় পাকিস্থানী সমরাধিনায়ক লেফটেন্যান্ট জেনারেল নিয়াজীর ওপর ভরসা রাখতে না পেরে তাৎক্ষনিক পদত্যাগ করেন গভর্নর ডা. আব্দুল মোতালেব মালেক ও মন্ত্রী পরিষদের সদস্যরা। পূর্ব পাকিস্থান সরকারের সচিব ও উর্ধ্বতন কর্মকর্তারা প্রাণভয়ে আশ্রয় নেয় ঢাকার ইন্টার কন্টিনেন্টাল হোটেলে আর্ন্তজাতিক রেডক্রসের নিরপেক্ষ জোনে।
এদিন চাপাইনবাবগঞ্জে মহনন্দা নদীর ওপার বারঘরিয়া থেকে বীরশ্রেষ্ঠ ক্যাপ্টেন মহিউদ্দিন জাহাঙ্গীরের নেতৃত্বে এপারে শত্রু সেনাদের উপর আক্রমণ করে। রেহাইর চর এলাকায় শত্রসেনাদের আক্রমণ চালালে পেছন থেকে শত্রুরা গুলি করে হত্যা করে মহিউদ্দিন জাহাঙ্গীরকে। এদিনই মুক্ত হয় চাঁপাইনবাবগঞ্জ।
মুক্তিযুদ্ধে চুড়ান্ত বিজয়ের অপেক্ষায় বাঙ্গালী। পরাজয় অবসম্ভবী জেনে রাতের আঁধারে বাংলার মেধাবী সন্তান ‘বুদ্ধিজীবী’ নিধনযজ্ঞে মেতে ওঠে পাক হানাদার বাহিনীর এদেশীয় দোসর ঘাতক, আল বদর, আল সামছ চক্র।