চ্যানেল আই অনলাইন
হৃদয়ে বাংলাদেশ প্রবাসেও বাংলাদেশ
Channelionline.nagad-15.03.24

১৩ লাখ শিক্ষার্থী ঝরে পড়াকে স্বাভাবিক বললেন প্রাথমিক ও গণশিক্ষামন্ত্রী

প্রথম শ্রেণিতে ভর্তি হয়েও এবছর সমাপনী পরীক্ষার আগেই ঝরে পড়েছে প্রায় ১৩ লাখ শিক্ষার্থী। তবে এটাকে স্বাভাবিক বলছেন প্রাথমিক ও গণশিক্ষামন্ত্রী মোস্তাফিজুর রহমান। এছাড়া বিভিন্ন মহলের দাবি সত্বেও সরকার যতো দিন চাইবে ততোদিন পিইসি পরীক্ষা চলবে বলেও মন্তব্য করেন তিনি।

আজ থেকে সারা দেশে শুরু হয়েছে প্রাথমিক ও ইবতেদায়ী শিক্ষা সমাপনী পরীক্ষা। বেলা ১১ টায় পরীক্ষা শুরু হওয়ার ঘণ্টা খানেক আগে থেকেই কেন্দ্রে আসতে শুরু করে ক্ষুদে শিক্ষার্থীরা। যাদের প্রত্যেকের বয়স ১২’র মধ্যে। এ বয়সে তারা অংশ নিচ্ছে পৃথিবীর সব চেয়ে বড় পাবলিক পরীক্ষা পিইসিতে।

২০১৬ সালের প্রাথমিক ও ইবতেদায়ী পরীক্ষায় অংশ নিয়েছে ৩২ লাখ ৩০ হাজার ২শ’ ৮৮ জন। প্রথম শ্রেণিতে ভর্তি হয়েও এ সমাপনী পরীক্ষার আগেই প্রায় ১৩ লাখ শিক্ষার্থী ঝরে পড়েছে। বিনামূল্যে পাঠবই বিতরণ, উপবৃত্তি, স্কুল ফিডিং ও  বিনা বেতনে লেখাপড়ার সুযোগসহ নানা উদ্যোগের পরও ঝরে পড়ার হার কমছে ধীরগতিতে।

ঢাকার একটি কেন্দ্র পরিদর্শ শেষে প্রাথমিক ও গণশিক্ষামন্ত্রী পরীক্ষার বিভিন্ন দিক নিয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন। তিনি বলেন: শিক্ষা নীতি বাস্তবায়নে বিশেষজ্ঞদের যে ভাবনা-সেগুলোকে মূল্য দিয়েই আমরা আগামী দিনের কর্মসূচিকে ঠিক করবো। তবে আপাতত কেবিনেটের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী পিএসসি-জেএসসি-জেডিসি পরীক্ষা যে নিয়মে চলছে সে নিয়মেই চলবে।

শিক্ষার্থী ঝরে পড়াকে স্বাভাবিক ঘটনা উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, এটা স্বাভাবিক। এ বছর ক্লাস ফাইভে ৫ জন শিক্ষার্থী আছে; সামনের বছর যে সেটা ৭ জন হবেই, এটা আপনি বলতে পারেন না। এক স্কুল থেকে অন্য স্কুলে চলে যেতে পারে। আর মাইগ্রেশনের ব্যাপার তো আছেই।

অভিভাবকদের অনেকে বলছেন, এমন পরীক্ষা তারা চান না। তারা বলছেন: আমাদের বাচ্চারা ভয় পাচ্ছে। আমরাও পড়ার জন্য তাদের ওপর চাপ দিচ্ছি। আমরা চাইবো আমাগীতে যেনো পিএসসি পরীক্ষা তুলে নেওয়া হয়।

তিন বছর পর অষ্টম শ্রেণিতে এই শিক্ষার্থীদের প্রাথমিক সমাপনী পরীক্ষায় অংশ নিতে হবে।