১২ সেপ্টেম্বর শিল্পকলার এক্সপেরিমেন্টাল হলে মঞ্চস্থ হতে যাচ্ছে স্বপ্নদলের প্রযোজনা ‘চিত্রাঙ্গদা’। এদিন সন্ধ্যা ৭টায় নাটকটির ৫৪তম প্রদর্শনী অনুষ্ঠিত হবে। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের চিরায়ত সৃষ্টি চিত্রাঙ্গদ’র গবেষণাগার নাট্যরীতিতে নাটকটি নির্দেশনা দিয়েছেন জাহিদ রিপন।
নাটকের গল্প গড়ে ওঠেছে মহাভারতের ছায়া অবলম্বনে। মহাবীর অর্জুন সত্যপালনের জন্য একযুগ ব্রহ্মচার্যব্রত গ্রহণ করে মণিপুর বনে আসেন। মণিপুরের রাজকন্যা চিত্রাঙ্গদা অর্জুনের প্রেমে উদ্বেলিত হলেও অর্জুন রূপহীন চিত্রাঙ্গদাকে প্রত্যাখ্যান করেন। অপমানিত চিত্রাঙ্গদা প্রেমের দেবতা মদন এবং যৌবনের দেবতা বসন্তের সহায়তায় এক বছরের জন্য অপরূপ সুন্দরীতে রূপান্তরিত হন। অর্জুন এবার যথারীতি চিত্রাঙ্গদার প্রেমে পড়েন। কিন্তু অর্জুনকে লাভ করেও চিত্রাঙ্গদার অন্তর দ্বন্দ্বে ক্ষতবিক্ষত হতে থাকে, অর্জুন প্রকৃতপক্ষে কাকে ভালোবাসেন, চিত্রাঙ্গদার বাহ্যিক রূপ নাকি তার প্রকৃত অস্তিত্বকে?
এভাবে চিত্রাঙ্গদা পৌরাণিক কাহিনীর আড়ালে যেন এ কালেরই নর-নারীর মনোদৈহিক সম্পর্কের টানাপোড়েন এবং পাশাপাশি পারস্পরিক সম্মানাবস্থানের প্রেরণারূপে উপস্থাপিত হয়। একইসঙ্গে এতে প্রকাশিত হয় সেই অনিবার্য সত্য, যা বাহ্যিক রূপের চেয়ে অনেক বেশি মূল্যবান নারী-পুরুষের চারিত্রিক শক্তি। এতেই প্রকৃতপক্ষে আত্মার স্থায়ী পরিচয়!
২০১১ সালে নাট্যসংগঠন স্বপ্নদল মঞ্চে নিয়ে আসে দর্শকপ্রিয় এ প্রযোজনাটি। এরপর নাটকটির ৫০টি সফল প্রদর্শনী অনুষ্ঠিত হয়। তারপর নানা কারণে নাটকটির প্রদর্শনী দীর্ঘ এক বছর বন্ধ ছিল। পুনর্নির্মাণের পর বিরতি ভেঙে অনেকটা নতুন আঙ্গিকে ৩১ জুলাই মঞ্চে আসে নাটকটি। পুনর্নির্মাণে ‘চিত্রাঙ্গদা’ নাটকটির বিভিন্ন চরিত্র রূপায়ন করছেন- সোনালী, জুয়েনা, শিশির, শ্যামল, রানা, সামাদ, জেবু, তানভীর, অমর, সম্রাট, ঊষা, তানিয়া, আঁচল, অপু, সুমাইয়া, বিপুল, আলী, বিমল প্রমুখ।
জাহিদ রিপন বলেন, ‘এবার প্রধান তিনটি চরিত্র নতুনভাবে তৈরি করে পুনর্নির্মাণ করা হয়েছে। যাতে প্রযোজনাটি নিয়মিত মঞ্চায়ন সম্ভব হয়। গল্প ঠিক রেখে অভিনেতা-অভিনেত্রী পরিবর্তন করা হয়েছে। এছাড়া কিছু ব্লকিং ও কোরিওগ্রাফিতেও পরিবর্তন আনা হয়েছে। ’