লা লিগায় এমনিতেই করুণ অবস্থায় বার্সেলোনা। এরমধ্যে দুঃসংবাদ, এল ক্ল্যাসিকোতে ভিএআর প্রযুক্তি নিয়ে বেফাঁস মন্তব্য করায় তাদের কোচ রোনাল্ড কোম্যানের বিরুদ্ধে তদন্ত কমিটি গঠন করেছে স্প্যানিশ ফেডারেশন (আরএফইএফ) কম্পিটিশন কমিটি। অভিযোগ প্রমাণিত হলে ১২ ম্যাচ নিষিদ্ধ হওয়ার ঝুঁকিতে আছেন মেসি-পিকেদের কোচ।
মৌসুমের প্রথম এল ক্ল্যাসিকোয় নিজ মাঠে রিয়াল মাদ্রিদের কাছে ৩-১ গোলে হেরে যায় বার্সা। ম্যাচে ভিএআর প্রযুক্তি ব্যবহার করে রিয়ালের পক্ষে পেনাল্টির বাঁশি বাজান রেফারি। ১-১ গোলে সমতায় থাকা ম্যাচে স্পটকিক থেকে লস ব্লাঙ্কোসদের এগিয়ে দেন অধিনায়ক সার্জিও রামোস। পরে রেফারির ওই সিদ্ধান্তকে ‘বোধগম্য’ নয় বলে অভিযোগ তুলেছিলেন কোম্যান।
‘রেফারি কি সিদ্ধান্ত নিচ্ছেন তা বুঝতে পারছি না, যখন বার্সেলোনাকে হারানোর প্রয়োজন পড়ে, তখনই দেখছি ভিএআর এসে হাজির হয়। সবসময় সিদ্ধান্ত আমাদের বিপক্ষে যাচ্ছে। তিনি (রেফারি) এসে বললেন এটা পেনাল্টি, যা বোধগম্য নয়। আমার বিষয়টা পছন্দ হয়নি।’
‘আশা করি রেফারি একদিন আমাকে বুঝিয়ে বলবেন যে, স্পেনে ভিএআরের ব্যবহার ঠিক কীরকম। কারণ আমরা পাঁচটা ম্যাচ খেলেছি আর সবসময় ভিএআরের সিদ্ধান্ত আমাদের বিপক্ষেই গেছে। অথচ সেভিয়ার বিপক্ষে এই ভিএআর মেসিকে পেনাল্টি দেয়নি, গেটাফের বিপক্ষে দুই লাল কার্ডের সময়ও না। কেন ভিএআর সবসময় আমাদের বিপক্ষে?’
কোম্যানের এমন মন্তব্য মোটেও পছন্দ হয়নি স্প্যানিশ ফুটবল ফেডারেশনের। তাদের নতুন বিধি অনুযায়ী কোম্যান আইন ভেঙেছেন। অভিযোগ প্রমাণিত হলে দুই থেকে ১২ ম্যাচ পর্যন্ত নিষিদ্ধ হতে পারেন ডাচ কোচ, গুণতে হতে পারে ৬০০ থেকে ৩,০০০ ইউরো জরিমানা।
ভিএআর সবসময় রিয়ালের পক্ষেই যায়, এমন মন্তব্য করে শাস্তির মুখে আছেন রিয়াল বেটিস কোচ ম্যানুয়েল পেল্লেগ্রেনিও। মূলত তার শাস্তির বিধান দেখেই কোম্যানের ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেবে আরএফইএফ।
হুমকির মুখে আছেন বার্সার সাবেক পরিচালক জাভি ভিয়াজোয়ানাও। ক্ল্যাসিকোর পর রেফারিকে উদ্দেশ্য করে কটুমন্তব্য করায় তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেবে আরএফইএফ।