সর্বশেষ ডক্টর মুহম্মদ জাফর ইকবাল হত্যাচেষ্টার আগে ১১ বছরে খুন হয়েছেন ৫ জন বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক। পুলিশ বলছে, সবগুলো হত্যাকাণ্ড একই ধরণের এবং মহল বিশেষ ঘটিয়েছে বলে তদন্তে প্রমাণ পাওয়া গেছে।
২০০৪ সালের ২৭ ফেব্রুয়ারি রাতে অমর একুশে বই মেলা থেকে বের হয়ে বাড়ি ফেরার পথে দুর্বৃত্তদের হামলায় মারাত্মক আহত হন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক হুমায়ুন আজাদ। সন্ত্রাসীরা এলোপাতারী কুপিয়ে আহত করে তাকে। ওই বছরের ১২ আগস্ট জার্মানিতে মারা যান তিনি।
একই বছরের ২৪ ডিসেম্বর ভোরে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস সংলগ্ন বিনোদপুর এলাকায় সকালে হাঁটতে বের হয়ে খুন হন অর্থনীতি বিভাগের অধ্যাপক মোহাম্মদ ইউনুস।
২০০৬ সালের ১ ফেব্রুয়ারি ওই রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়েরই আবাসিক এলাকা থেকে নিখোঁজ হন ভূ-তত্ত্ব ও খনি বিদ্যা বিভাগের অধ্যাপক এস তাহের। দু দিন পর বাসার পাশে ম্যানহোলে পাওয়া যায় তার মরদেহ।
![](https://i0.wp.com/www.channelionline.com/wp-content/uploads/2024/02/Channeliadds-Reneta-16-04-2024.gif?fit=300%2C250&ssl=1)
বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক হত্যাকাণ্ডের পরের ঘটনাটিও রাজশাহীতে। দু হাজার ১২ সালের ২৩ শে এপ্রিল রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজী বিভাগের শিক্ষক ডক্টর এ এফ এম রেজাউল করিম সিদ্দিকীকে শালবন এলাকায় গলা কেটে হত্যা করে সন্ত্রাসীরা।
দেড় বছরের মাথায় ২০১৪ সালের ১৫ নভেম্বর খুন হন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজ বিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক একেএম শফিঊল ইসলাম। ওই হত্যাকাণ্ডের দায়িত্ব স্বীকার করে জঙ্গি সংগঠন আনসার আল ইসলাম। সবগুলো ঘটনার তদন্তেই পাওয়া গেছে মহল বিশেষের সম্পৃক্ততা।
সর্বশেষ গত ৪ মার্চ বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে সন্ত্রাসী হামলায় আহত হন সিলেট শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ডক্টর মুহম্মদ জাফর ইকবাল। ওই হামলাকেও পরিকল্পিত বলছেন তদন্তকারীরা।
আরও বিস্তারিত দেখুন এনামূল কবীর রূপমের ভিডিও রিপোর্টে-